মাসুম সিকদার:
বছরের হাতে গোনা কয়েকটি
আনুষ্ঠানিক দিনে আমরা সবাই
কতো মানবিক হওয়ার চেস্টা করি |
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে
এক প্রানে,এক হয়ে মিশে-
একাকার হয়ে যাই |
মানুষ মানুষের জন্য হয়ে যাই |
আর বছরের বাকি দিন গুলিতে
রয়ে যাই বাংগালী হয়ে |
যা আমাদের অভাবে-স্বভাবে,
আচার-আচরণে,
কথা-বার্তায়,
চিন্তা-চেতনায়,
কাজে-কর্মে,
চরম নোংরামি, অস্থিরতায়,
কামে-লোভে,
হিংসা-অহংকারে |
তাহলে কি দাড়ালো- আমরা কিন্তু পারি |
পারি সত্যি কারের মানুষের মতো মানুষে হতে |
আমরা পারি মানুষ হয়ে
মানুষের পাশে দাঁড়াতে,
মানুষের মতোই আচরণ করতে |
শুধু প্রয়োজন আনুষ্ঠানিকতার |
যেমন- বছরের দুই ঈদে, পহেলা বৈশাখে, বিজয় দিবসে, স্বাধীনতা দিবসে,শবে বরাত ও শবে কদরের রাতে, পূজা অর্চনায়,
বড় দিনে,ভ্যালেনটাইন ডেতে,
পহেলা ফালগুনের মতো
অন্যান্য বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতায় |
কতো পশু কোরবানি করে-
ঈদ মোবারক,
ঈদ উৎজ্জাপন করা হলো |
কম বেশি সবাই আজ ভালো খাবার খেলো |
কেউ খেতে না চাইলেও জোড় করি |
কারন আজ ঈদ |
খেতেই হবে |
ঈদ বলে কথা |
গোস্ত বিতরন হবে সবার মাঝে |
আজ গরিব ধনী সবাই
একই পশুর গোস্ত খাবে,
সব ভেদাভেদ ভুলে যাবে |
আজ কোন ভেদাভেদ করা যাবেনা |
কারন আজ যে ঈদের আনুষ্ঠানিকতা |
হায়রে মানুষ, হায়রে বাংগালী |
প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত
নামাজে ভেদাভেদ ভুলে
একই কাতারে নামাজ পড়েও এই উপলব্ধি হলোনা যে,
মানুষে মানুষে কোন বিভেদ নেই,
নেই কোন পার্থক্য |
তাহলে এই নামাজ কিসের জন্য ?
এই পশু কোরবানি কার জন্য ?
এক সৃষ্টিতে গোটা মানব গোষ্ঠী |
কেনো,
কিসের জন্য এতো বিভেদ ?
কেন এতো লোক দেখানো,
লোক হাসানো আনুষ্ঠানিকতা ?
আমরা তো নিজেকেই –
আজো সন্তুষ্ট করতে শিখিনাই |
তাহলে স্রস্টাকে সন্তুষ্ট করবো কিভাবে ?
একই রক্ত প্রবাহে মানুষ গড়া,
এখনে তো আমরা- মানুষকেই
ভালোভাবে ভালোবাসতে পারিনাই |
তাই যদি না পারি-
তবে- আমরা তো মানুষের মতোই দেখতে
কিন্তু,
সত্যিকারের
মানুষ কি হতে পেরেছি ???