• রাত ১১:১৩ মিনিট বৃহস্পতিবার
  • ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : হেমন্তকাল
  • ৭ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
বন্দরে মিশুক চালক জাকির নিখোঁজ বন্দরে ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা সোনারগাঁয়ে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ছেলে নিহত, বাবাসহ আরেক ছেলে আহত সোনারগাঁয়ে ৯ দিন ধরে স্কুল ছাত্র নিখোঁজ বন্দরে প্রবাসীকে কুপিয়ে জখম করেছে কিশোর গ্যাং এর সন্ত্রাসীরা সোনারগাঁয়ের ১১ জনের মনোনয়ন বৈধ ২ জন বাতিল হলফনামায় কায়সার ও লিয়াকত হোসেন খোকা যত সম্পদ দেখিয়েছেন হলফনামায় কায়সার ও লিয়াকত হোসেন খোকা যত সম্পদ দেখিয়েছেন আয় কমেছে এমপি খোকার ও তার স্ত্রীর বন্দরে চুরি করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ যুবকের ৭ দিন পর মৃত্যু বন্দরে চুরি করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ যুবকেন ৭ দিন পর মৃত্যু নদীতে ডুবে যাওয়ার ২১ ঘন্টা পর শিশু রিয়াদের লাশ উদ্ধার বন্দরে কিশোর সন্ত্রাসীদের হামলায় মাদ্রাসার নাইটগার্ড আহত ২৪০ দিনে কুরআনে হাফেজ হলেন খালিদ সাইফুল্লাহ রিদওয়াদ আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল হাই ভুঁইয়া মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল তৃণমুল বিএনপিতে যোগদানের মাধ্যমে রাজনীতিতে নাম লেখালের এডভোকেট রোকন সোনারগাঁয়ে ১২ বছরের মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে বড় ভুমিকম্প মনোনয়ন জমা শেষে চুপচাপ প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা কাঁচপুর ব্রিজের ঢালে নাফ বাস উল্টে আহত ১০, তীব্র যানজট
২৫ টাকার পেয়াজ কেন ২৫০ টাকা ?

২৫ টাকার পেয়াজ কেন ২৫০ টাকা ?

Logo


হুসাইন রবিউল
যে টাকায় আগে ১০ কেজি পেঁয়াজ পাওয়া যেত এখন সে টাকায় কিনতে হচ্ছে মাত্র ১ কেজি পেঁয়াজ। ইতিহাসের সব রেকর্ড ভেঙ্গে এখন বাংলাদেশে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ। পেঁয়াজ বিক্রেতাদের নির্মম সিন্ডিকেটের কাছে সাধারণ মানুষ এখন অসহায়। ২৫ টাকা কেজি পেঁয়াজ এখন কিনতে হচ্ছে ২৫০ টাকায়। অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে দাড়িয়েছে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হয়তো পেঁয়াজের কেজি ৫০০ টাকা ছুঁয়ে যাবে। কেন আমাদেরকে ২৫ টাকার পেঁয়াজ ২৫০ টাকায় কিনতে হচ্ছে? এর জবাব কে দেবে? বর্তমানে বাংলাদেশে যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে বিশ্বের অন্য কোন দেশে এত দামে পেঁয়াজ বিক্রির কোন রেকর্ড নেই। বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে বাংলাদেশি টাকায় সর্বোচ্চ ৩১টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ এছাড়া মিয়ানমারে ৫৬, নেপালে ৩৮, পাকিস্তানে ৩০, রাশিয়ায় ৩৯, যুক্তরাজ্যে ৩৫, কাজাখস্তানে ২৭ ও মিসরে বিক্রি হচ্ছে ৩১ টাকায়।
দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে দেশে উৎপাদন হয় ১৫-১৬ লাখ টন। বাকি ৮-৯ লাখ টন আমদানি করা হয়। কিন্তু চাহিদার বাইরেও সরবরাহ লাইনে থাকে আরও ৬-৭ লাখ টন।
ফলে দেশে বছরে পেঁয়াজের দরকার হয় ৩০-৩১ লাখ টন। উৎপাদনের বাইরে গত অর্থবছরে ১২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ হিসাবে দেশে পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি নেই। ভারতে দাম বাড়ানোর আগেই যেসব পেঁয়াজ দেশে এসেছে সেগুলো এখনও রয়ে গেছে। ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর বিকল্প হিসেবে মিয়ানমার, মিশর ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে কম দামে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এত কিছুর পরও সরকার পেঁয়াজের বাজার কেন নিয়ন্ত্রন করতে পারছে না। মূল সমস্যাটা কোথায়?
আসলেই কি বর্তমানে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি আছে নাকি সবই সাজানো নাটক? এটি সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার কৌশল নয়তো! দেশে যদি পেঁয়াজের ঘাটতিই থাকে তাহলে এখনো কেন বাজারে দেশী পেঁয়াজ পাওয়া যায়? এসব পেঁয়াজ আসে কোথা থেকে? ঘাটতির কারণে তো সব দেশী পেঁয়াজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল।
বানিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বার বার বলছেন ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করছি, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে আছে’। কিন্তু বাস্তবে এ কথার কোন প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী পেঁয়াজের দর বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বলেছেন সিন্ডিকেটের কথা। তবে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। মাঝে মধ্যে দু একটি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা আর জরিমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল কার্যক্রম।
ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করলেও মালদ্বীপে রপ্তানি অব্যাহত রেখেছে। আবার দাম না পেয়ে কৃষকের পেঁয়াজ ফেলে দেওয়ার খবরও ভারতের পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। বাংলাদেশকে পেঁয়াজ না দিয়ে ভারত মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত রাখার কারণ কি? নিশ্চয় এটি আন্তর্জাতিক রাজনীতি।
মোদ্দা কথা হচ্ছে বাংলাদেশে কিছু দিন পর পরই হয় লবন না হয় চিনি অথবা পেঁয়াজ এসব নিত্য পন্যের দাম আকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কিছু ব্যক্তি রাতারাতি হয়ে যায় কোটিপতি। সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। কেন হয়? কারণ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটে সরকারের এমপি মন্ত্রীরা জড়িত থাকে। দাম কমানোর ইচ্ছা তাদের থাকে না। তাছাড়া আমাদেশে নিত্যপন্য আমদানীর ক্ষেত্রে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের উপর একচ্ছত্র নির্ভরশীলতাও এজন্য দায়ী। সরকারকে অবশ্যই বিভিন্ন বিকল্প রাষ্ট্র চিহ্নিত করে সেখান থেকে পন্য আমদানী করতে হবে। তা নাহলে ভারত হুট করে রপ্তানি বন্ধ করে দেবে আর হা হুতাশ ছাড়া আমাদের আর কিছুই করার থাকবে না।

লেখকঃ সম্পাদক,চারদিক


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution