• রাত ১১:৫৬ মিনিট রবিবার
  • ৯ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : শরৎকাল
  • ২৪শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
অন্ডোকেষে আঘাতে স্বামীর মৃত্যুর ঘটনায় দ্বিতীয় স্ত্রী কারাগারে সোনারগাঁয়ে স্বামীর অন্ডকোষে স্ত্রী আঘাত: স্বামীর মৃত্যু সোনারগাঁয়ে ৪ দোকানীকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা সোনারগাঁয়ে তিন হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন সোনারগাঁয়ে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম সোনারগাঁয়ে স্থানীয় সরকার দিবসে শোভাযাত্রা ও উন্নয়ন মেলা সোনারগাঁয়ে কাঠ বোঝাই ট্রাক থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার পিরোজপুরে স্থানীয় সরকার দিবস পালন সোনারগাঁয়ে অটোর ধাক্কায় শিশু নিহত কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি চেয়ে জামায়াতের মানববন্ধন মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে: মুক্তি চেয়ে গৃহিণীর আহাজারি অতি কথনে বিষ ছড়াচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগে সোনারগাঁয়ে দুই মোবাইল দোকানে দুর্ধষ চুরি সোনারগাঁয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক আকতার হাবিবের পিতার স্বরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কালো তালিকাভুক্ত হলো মোগরাপাড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ১৬ সেপ্টেম্বর সমাবেশকে সফল করতে প্রস্তুতি সভায় শামীম ওসমান সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের ৩৬ বছর পূর্তি পালিত সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত সোনারগাঁয়ে স্বামীর মোটর সাইকেলের চাকায় ওড়না পেচিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু
পৌরবাসীর সঙ্গে ৯ কাউন্সিলরের বেঈমানী, শাস্তি বিএনপির কাউন্সিলরের!

পৌরবাসীর সঙ্গে ৯ কাউন্সিলরের বেঈমানী, শাস্তি বিএনপির কাউন্সিলরের!

Logo


নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ

সোনারগাঁও পৌরবাসীর সঙ্গে যখন ৯ জন কাউন্সিলর বেঈমানী করলেন তখন পৌরবাসী সহ আরও তিনটি ইউনিয়নবাসীকে বাঁচাতে মাঠে নেমেছেন এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। সোনারগাঁও পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের টিপুরদি এলাকায় অবস্থিত চৈতি কিম্পোজিটের বিষাক্ত বর্জ্য পৌরসভার খাল বিল নদী নালায় পুকুরে ছেড়ে দেয়ার অনুমতি দেয় সোনারগাঁও পৌরসভার মেয়র সাদেকুর রহমান ভুইয়া। কিন্তু মেয়র বিষয়টি অস্বীকার করে দাবি করেছেন, পৌরসভার একজন কাউন্সিলর আরও ৮ জন কাউন্সিলর ও তার স্বাক্ষর ভুল বুঝিয়ে জালিয়াতি করে চৈতি কম্পোজিটকে অনুমতি দেয়। ওই ঘটনায় তিনি সকল কাউন্সিলরদের ছাড় দিয়ে শাস্তি দিয়েছেন অভিযুক্ত বিএনপির কাউন্সিলর মোতালেব মিয়াকে।

চৈতি কম্পোজিটের বিষাক্ত ক্যামিকেলযুক্ত পানি সোনারগাঁও পৌরসভা সহ আরও তিনটি ইউনিয়নের খাল বিল পুকুর হয়ে নদীতে যাচ্ছে। যা একটি সুয়ারেজের মাধ্যমে প্রবাহিত হয়ে আসছে। বিষাক্ত এ বর্জ্য সহ পানি খাল বিল পুকুরে যাচ্ছে যা ওই পানিতে হাত মুখ ধৌত করলেও চর্মরোগ সহ নানা রোগ ব্যধি হবে। সেই সঙ্গে এই পানি পান করলেও মরণব্যাধি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ পানি ব্যবহারে পৌরসভার মানুষের মহামারি আকারে রোগ ছড়াবে। কারন খাল বিলের পানিতে মানুষ এখনও গোসল করছেন। রান্না বান্নার কাজেও ব্যবহার করছেন। পৌরবাসীর সঙ্গে বৈঈমানী করে ভুয়া কাগজে স্বাক্ষর করে পৌরসভাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করলেন জনপ্রতিনিধিরা। চৈতি কম্পোজিটের টাকার কাছে পৌরবাসীর জীবন নিয়ে ছিনিমিলি খেললেন পৌরসভার ৯জন কাউন্সিলর। যাদের মধ্যে রহস্যজনকভাবে শাস্তি দেয়া হয়েছে মাত্র একজন কাউন্সিলরকে।

এলাকাবাসী বিশ্বাস করে তাদের আমানত মুল্যবান ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন কাউন্সিলরদের। কিন্তু সেই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পৌরবাসীর জীবনকে ঝুকির মধ্যে ফেলে দিয়ে চৈতির কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন। কিন্তু মেয়র একজনকে শাস্তি দিয়ে বাকিদের বাঁচিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন বলেও এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এদিকে মেয়র সাদেকুর রহমানের দাবি, তার কাছ থেকে মিথ্যা প্রকল্প দেখিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে অবৈধ কাজ সম্পাদনের উদ্দেশ্যে মেয়রের স্বাক্ষর নেন বেশকজন কাউন্সিলর। ওই ঘটনায় শুধুমাত্র একজন কাউন্সিলর মোতালেব মিয়াকে শাস্তিস্বরুপ তার প্রাপ্য সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা। মোতালেব মিয়া পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। এদিকে শুধুমাত্র একজনকে এমন শাস্তি দেয়া হলেও স্বাক্ষর দেয়া বাকি কাউন্সিলরদের ছাড় দেয়া হয়েছে রহস্যজনক কারনে। কারন পৌরবাসীর জীবন নিয়ে খেলা সকল কাউন্সিলরদের শাস্তি দেয়া উচিত বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

জানাগেছে, সোনারগাঁও পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোতালেব মিয়ার পৌরসভা থেকে প্রাপ্য সকল প্রকার সরকারী সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা। কাউন্সিলর মোতালেব মিয়ার বিরুদ্ধে উত্থাপিত দূর্নীতি প্রমান পাওয়ায় প্রায় একমাস আগেই এ পদক্ষেপ নেয়া হলেও সহস্যজনক কারনে এতদিন গোপন রাখে সোনারগাঁও পৌরসভা। এলাকাবাসীকে বাঁচাতে যখন স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা মাঠে নামেন তখন বিষয়টি মেয়র ফাঁস করলেন। যদিও অবৈধভাবে চৈতিকে অনুমতি পত্রে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে একজনকে শাস্তি দেয়া হলো।

সোনারগাঁও পৌর মেয়র সাদেকুর রহমান স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেন, সোনারগাঁও পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতা মোতালেব মিয়া আমাকে সহ পৌরসভার আরও ৮জন কাউন্সিলরকে একটি ড্রেন নির্মাণ করা হবে বলে পৌরসভার নিজস্ব প্যাডে ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু নাইম আহমেদ রিপন, ৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দুলাল মিয়া, ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহজালাল মিয়া, ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম, ৮নং ওয়ার্ডের ফারুক আহমেদ তপন, ৯নং ওয়ার্ডের মনিরুজ্জামান মধু, মহিলা কাউন্সিলর পারভিন আক্তার ও রিতা আক্তারের স্বাক্ষর নেয়।

তিনি আরও বলেন, পরে জানতে পারি কাউন্সিলরদের স্বাক্ষর নেয়া সেই প্যাডটি মূলত চৈতী কম্পোজিট তাদের বর্জ্য বিভিন্ন খালে ফেলার জন্য স্বাক্ষর দেয়া কাউন্সিলররা লিখিত অনুমতি দিয়েছে এমন কাজে ব্যবহার করেছেন। মুলত মোতালেব আমাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জালিয়াতি করে আমাদের স্বাক্ষর নিয়ে তার স্বার্থ উদ্ধার করতে ব্যবহার করেছেন। তাই একজন কাউন্সিলর বা জনপ্রতিনিধি হিসেবে তিনি জনপ্রতিনিধির নীতি বহির্ভূত কাজ করায় সকল সরকারী সুযোগ-সুবিধা (বেতন, ভাতা, বোনাস ও কাউন্সিলরের বা জনপ্রতিনিধির নির্বাহী ক্ষমতা) বন্ধ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোতালেব মিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা।

অন্যদিকে চৈতি কম্পোজিটের বিষাক্ত পানি বর্জ্য সহ নিরসনের লক্ষ্যে স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা নিজেই ঘটনাস্থলে যান। সেখানে তিনি গিয়ে দেখেন গোপন সুয়ারেজের মাধ্যমে মাটির নিচ দিয়ে চৈতির বিষাক্ত পানি খালে ছেড়ে দিচ্ছে। যা খাল বিল পুকুর ছড়িয়ে নদীতে গিয়ে পড়ছে। পরের দিন আবারো এমপি নিজে গিয়ে ওই সুয়ারেজ বন্ধ করে দেন। এছাড়াও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলামও। এখন নতুন করে চৈতি পৌরসভাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু যারা পৌরবাসীর জীবন নিয়ে খেলছেন তাদের বিচার দাবি করছেন পৌরবাসী।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution