• বিকাল ৫:২১ মিনিট শনিবার
  • ৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : শরৎকাল
  • ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে স্বামীর অন্ডকোষে স্ত্রী আঘাত: স্বামীর মৃত্যু সোনারগাঁয়ে ৪ দোকানীকে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা সোনারগাঁয়ে তিন হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন সোনারগাঁয়ে পিতা-পুত্রকে কুপিয়ে জখম সোনারগাঁয়ে স্থানীয় সরকার দিবসে শোভাযাত্রা ও উন্নয়ন মেলা সোনারগাঁয়ে কাঠ বোঝাই ট্রাক থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা উদ্ধার পিরোজপুরে স্থানীয় সরকার দিবস পালন সোনারগাঁয়ে অটোর ধাক্কায় শিশু নিহত কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি চেয়ে জামায়াতের মানববন্ধন মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে: মুক্তি চেয়ে গৃহিণীর আহাজারি অতি কথনে বিষ ছড়াচ্ছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগে সোনারগাঁয়ে দুই মোবাইল দোকানে দুর্ধষ চুরি সোনারগাঁয়ে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার দুই সাংবাদিক আকতার হাবিবের পিতার স্বরণে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল কালো তালিকাভুক্ত হলো মোগরাপাড়া সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ১৬ সেপ্টেম্বর সমাবেশকে সফল করতে প্রস্তুতি সভায় শামীম ওসমান সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের ৩৬ বছর পূর্তি পালিত সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে ১০ জন আহত সোনারগাঁয়ে স্বামীর মোটর সাইকেলের চাকায় ওড়না পেচিয়ে গৃহবধূর মৃত্যু সোনারগাঁয়ে ব্লক বাটিক এন্ড স্ক্রীন প্রিন্ট প্রশিক্ষণ উদ্বোধন
ডাইনােসর হারিয়ে গেলেও সাড়ে ছয় কোটি বছর ধরে এই প্রাণীটি যেভাবে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে

ডাইনােসর হারিয়ে গেলেও সাড়ে ছয় কোটি বছর ধরে এই প্রাণীটি যেভাবে সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে

Logo


পৃথিবীর জন্মের পর মুষ্টিমেয় যেসব প্রাণী এই গ্রহে অবাধে বিচরণ করতো তার মধ্যে সবচেয়ে সফল প্রাণীটির নাম ডাইনোসর। প্রায় ১৪ কোটি বছর ধরে পরাক্রমশালী এই প্রাণীটি একক আধিপত্য বিস্তার করেছে। একটি ডাইনোসরের জীবনে অন্য আরেকটি ডাইনোসর ছাড়া আর কেউ হুমকি ছিল না। কিন্তু হঠাৎ করেই এমন একটি শক্তিধর প্রাণী একেবারে উধাও হয়ে গেল। বিবিসি থেকে নেয়া।

নিশ্চয়ই কেউ তাদের হত্যা করেছে কিম্বা কোনো এক প্রাকৃতিক কারণে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কী হয়েছিল তাদের?

বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান করে দেখেছেন একটি গ্রহাণুই তাদের ধ্বংসের কারণ। ওই গ্রহাণুর আঘাতের ফলে এক মহা-বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছিল যার জের ধরে পৃথিবীর বেশিরভাগ প্রাণী ও গাছপালার মৃত্যু হয়। পৃথিবী থেকে চিরতরে হারিয়ে যায় অতিকায় এই ডাইনোসরও।

ধারণা করা হয় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে একটি গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করেছিল। এর ফলে প্রলয়ংকরী কিছু ঘটনা ঘটে: ভূমিকম্প, সুনামি এবং দাবানল। এর পরে ছাই দিয়ে তৈরি মেঘ সূর্যকে ঢেকে রাখলে এই গ্রহটি এক দশক কাল ধরে নিমজ্জিত থাকে অন্ধকারে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই মহা-বিপর্যয়ের ফলে পৃথিবী থেকে ৭৬ শতাংশ গাছপালা ও পশুপাখি হারিয়ে যায়। তবে যেসব প্রাণী এর মধ্যেও বেঁচে থাকতে পেরেছিল তাদের মধ্যে রয়েছে সাপ, কিছু স্তন্যপায়ী প্রাণী, পাখি, ব্যাঙ এবং মাছ।

এদের মধ্যে সাপের টিকে থাকার কাহিনি আরো চমকপ্রদ।

যেভাবে টিকে রইল

ব্রিটেনে নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রহাণুর আঘাতে ডাইনোসর নিশ্চিহ্ন হয়ে গেলেও সাপ নাটকীয়ভাবে বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই দুর্ঘটনার কারণেই তারা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই মহাপ্রলয়-পরবর্তী বিশ্বে হাতেগোনা অল্প কিছু প্রজাতির সাপ বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়েছিল। তাদের ছিল অসাধারণ দুটো দক্ষতা- মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা এবং কোনো ধরনের খাদ্য ছাড়াই দীর্ঘ সময় বেঁচে থাকার ক্ষমতা।

প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকতে পারে যেসব সরীসৃপ, ওই বিপর্যায়ের পরে তারা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হয় আজকের দিনে যে ৩,৭০০ কিম্বা তারচেয়েও বেশি প্রজাতির সাপের কথা জানা যায় সেগুলো গ্রহাণুর আঘাত থেকে বেঁচে যাওয়া সাপ থেকেই বিবর্তিত হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের বাথ ইউনিভার্সিটি এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছে। ড. ক্যাথরিন ক্লেইন এতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “গ্রহাণুর আঘাতে পরিবেশের খাদ্যচক্র ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু এর মধ্যেও কিছু সাপ বেঁচে থাকতে সক্ষম হয়। পরে তারা আরো বলিষ্ঠ হয়ে ওঠে। আরো পরে এসব সাপ ছড়িয়ে পড়ে নতুন নতুন মহাদেশে। ভিন্ন পরিবেশে বেঁচে থাকার জন্য এসব সাপ নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন করে।”

“গ্রহাণুর এই আঘাতের ঘটনা ছাড়া এসব সাপ আজকের পর্যায়ে পৌছাতে পারতো না বলেই মনে হয়,” বলেন তিনি।

কোথা থেকে ছড়িয়েছে

গ্রহাণুটি পৃথিবীর যে স্থানে আঘাত হেনেছিল বর্তমানে সেটি মেক্সিকো।

ওই সময়ে সেখানে যেসব সাপ ছিল সেগুলোর সাথে আজকের দিনের সাপের অনেক মিল পাওয়া যায়। যেমন পা বিহীন সাপ এবং শিকার গিলে খাওয়ার জন্য লম্বা করা যায় এরকম চোয়াল বিশিষ্ট সাপ।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, খাবার ছাড়া এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার ক্ষমতা এবং অন্ধকারের মধ্যেও শিকার করার দক্ষতাই এসব সাপ বেঁচে থাকার পেছনে প্রধান কারণ বলে তারা মনে করছেন।

 

হাতেগোনা অল্প কিছু প্রজাতির যেসব সাপ সেসময় বিরাজ করছিল তার মধ্যে ছিল, প্রধানত, মাটির নিচে, জঙ্গলের মাটিতে অথবা স্বাদু পানিতে বসবাস করে এধরনের সাপ। সেখান থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে তাদের ছড়িয়ে পড়তে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি।

জানা যায় প্রথমে তারা গিয়েছিল এশিয়া মহাদেশে।

এর পর সময়ের সাথে সাথে সাপের আকার আরো বড়ো এবং বিস্তৃত হতে থাকে। তারা খুঁজে বের করে নতুন বসতি। সন্ধান করে নতুন শিকারের। এভাবেই নতুন ধরনের সাপের আবির্ভাব ঘটে যার মধ্যে রয়েছে সি স্নেইক বা সমুদ্র সাপ যেগুলো ১০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

যেভাবে বিবর্তিত হয়েছে যেসব ঘটনায় তুলনামূলক অল্প সময়ের মধ্যে প্রায় অর্ধেক প্রজাতির প্রাণীর মৃত্যু ঘটে এরকম বিপর্যয় পৃথিবীর ইতিহাসে মাত্র কয়েকবারই ঘটেছে । গবেষণায় আরাে দেখা গেছে, সাপে বিবর্তনের ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযােগ্য সময় হচ্ছে যখন এই পৃথিবী উষ্ণ থেকে ঠাণ্ডা জলবায়ুতে রূপান্তরিত হয়েছিল তখন। এর অল্প কিছু পরেই শুরু হয় বরফ যুগ বা আইস এইজ। পৃথিবীতে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে সাপ অত্যন্ত সফল একটি প্রাণী। এন্টার্কটিকা ছাড়া সব মহাদেশেই এই প্রাণীটিকে পাওয়া যায়। সমুদ্র থেকে শুষ্ক মরুভূমি- সব ধরনের পরিবেশেই এটি বেঁচে থাকতে পারে । সাপ যেমন মাটির নিচে থাকতে পারে তেমনি থাকতে পারে গাছের মাথার উপরেও। এর আকারও হয় বিভিন্ন রকমের কয়েক সেন্টিমিটার থেকে ছয় মিটার পর্যন্তও । কীটপতঙ্গ ইঁদুর ব্যাঙ ইত্যাদি শিকার করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অত্যন্ত ।

গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই সাপ । মানুষের সাথে সংঘাতের কারণে তাদের বহু প্রজাতি এখন হুমকির মুখে ।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution