• দুপুর ১২:২১ মিনিট বুধবার
  • ১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : হেমন্তকাল
  • ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে অবরোধের পক্ষে বিপক্ষে মাঠে নেই কোন দল রাতের আধারে সিএসজিতে এসে ট্রাকে আগুন দিলো দুবৃর্ত্তরা বন্দরে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-৪,মোটর সাইকেল জব্দ সোনারগাঁয়ে আওয়ামী-জাতীয়পার্টি ও স্বতন্ত্রসহ ১১ প্রার্থীর মনোনয়ন সংগ্রহ লিয়াকত হোসেন খোকা মনোনয়ন পাওয়ায় পৌর জাতীয়পার্টির আনন্দ মিছিল দলীয় মনোনয়ন পেয়েই জমে উঠেছে নির্বাচন কায়সার হাসনাতকে নেতাকর্মীদের সংবর্ধনা মাদ্রাসার রড চুরি করতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চোর হাসপাতালে সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়নে নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল মিষ্টি বিতরন সোনারগাঁয়ে বিভিন্ন মাছের ঘের এ উচ্ছেদ অভিযান সোনারগাঁয়ে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেলেন আবদুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত সোনারগাঁয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হার ৯৪.৫১ সোনারগাঁয়ে এইচএসসি ও সমামানের পরিক্ষায় পাশের হার ৯৪.৫১ পান্থপথে লেগুনা চালককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় বন্দরে গ্রেপ্তার প্রেমিকের দেয়া আগুনে মৃত্যু হলো প্রেমিকার নাশকতার মামলায় বিএনপি জামায়েত এর তিন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার নুনেরটেকে লালপুরীর ৫০তম তরিকত সম্মেলন শুরু সেলিম ওসমানের এবার নির্বাচিত হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হওয়া অনেকটাই দোদুল্যমান আমরা নারায়ণগঞ্জে লাঙ্গলের ভার বহন করতে চাই না -আনোয়ার হোসেন এবারও কি সোনারগাঁয়ে জাতীয়পার্টি নাকি আওয়ামীলীগ? সমীকরন যা বলছে
মারা গেলেন কিংবদন্তি এমটি এম শামসুজ্জামান

মারা গেলেন কিংবদন্তি এমটি এম শামসুজ্জামান

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: প্রখ্যাত ও শক্তিমান অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামান আর নেই। আজ শনিবার সকালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ছোট মেয়ে কোয়েল আহমেদ।  ‘আমার বাবা এবার সত্যি সত্যি না ফেরার দেশে চলে গেছেন’, এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কোয়েল।

 

এর আগে বেশ কয়েকবার এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়েছিল।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এটিএম শামসুজ্জামানকে। তার অক্সিজেন লেভেল কমে গিয়েছিল। হাসপাতালে ডা. আতাউর রহমান খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

 

তার পূণাঙ্গ নাম আবু তাহের মোহাম্মদ শামসুজ্জামান। তিনি এটিএম শামসুজ্জামান হিসেবেই অধিক পরিচিত। তিনি ১৯৪১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর নোয়াখালীর দৌলতপুরে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার ভোলাকোটের বড় বাড়ি আর ঢাকায় থাকতেন দেবেন্দ্রনাথ দাস লেনে।

 

 

পড়াশোনা করেছেন ঢাকার পগোজ স্কুল, কলেজিয়েট স্কুল, রাজশাহীর লোকনাথ হাই স্কুলে। পগোজ স্কুলে তার বন্ধু ছিল আরেক অভিনেতা প্রবীর মিত্র। ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট হাই স্কুল থেকে। তারপর জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ভর্তি হন।

তার বাবা নূরুজ্জামান ছিলেন নামকরা উকিল এবং শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের সঙ্গে রাজনীতি করতেন।

 

মাতা নুরুন্নেসা বেগম। পাঁচ ভাই ও তিন বোনের মধ্যে শামসুজ্জামান ছিলেন সবার বড়।

এটিএম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন জলছবি চলচ্চিত্রের জন্য। ছবির পরিচালক ছিলেন নারায়ণ ঘোষ মিতা, এ ছবির মাধ্যমেই অভিনেতা ফারুকের চলচ্চিত্রে অভিষেক। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথম দিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনা আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি রেদওয়ান রনি পরিচালিত চোরাবালিতে অভিনয় করেন ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

১৯৮৭ সালে কাজী হায়াত পরিচালিত ‘দায়ী কে?’ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।

জলছবি, যাদুর বাঁশি, রামের সুমতি, ম্যাডাম ফুলি, চুড়িওয়ালা, মন বসে না পড়ার টেবিলে চলচ্চিত্রে তাকে কৌতুক চরিত্রে দেখা যায়। তার অভিনয় জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় আমজাদ হোসেনের নয়নমণি চলচ্চিত্রটি। এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি আলোচনায় আসেন। এর আগে নারায়ণ ঘোষ মিতার লাঠিয়াল চলচ্চিত্রে খল চরিত্রে অভিনয় করেন। এ ছাড়া খল চরিত্রে তার কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো – অশিক্ষিত, গোলাপী এখন ট্রেনে, পদ্মা মেঘনা যমুনা, স্বপ্নের নায়ক।

এ ছাড়া বেশ কিছু চলচ্চিত্রে তিনি পার্শ্ব-চরিত্রে অভিনয় করেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে – অনন্ত প্রেম, দোলনা, অচেনা, মোল্লা বাড়ির বউ, হাজার বছর ধরে, চোরাবালি।

১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর বিষকন্যা চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এ ছাড়া খান আতাউর রহমান, কাজী জহির, সুভাষ দত্তদের সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেন। এরপর ২০০৯ সালে প্রথম পরিচালনা করেন শাবনূর-রিয়াজ জুটির এবাদত নামের ছবিটি।

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution