• রাত ১:৪৮ মিনিট সোমবার
  • ২২শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ৫ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
কাঁচপুরে এক পরিবহন চাঁদাবাজ গ্রেপ্তার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীসভা অনুষ্ঠিত বিএনপির উদ্যোগে কুরআন পাঠ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সোনারগাঁয়ে ১০ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন বারদী আশ্রমে আশপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ দেড় কোটি টাকার ইয়াবাসহ আটক ৪ সোনারগাঁয়ে অভিনব কায়দায় মিশুক চুরি সোনারগাঁ উপজেলা- থানা সড়কের নির্মান কাজ পরিদর্শনে এমপি খোকা সোনারগাঁ জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত সোনারগাঁয়ে ২০ কেজি গাঁজাসহ আটক ১ সোনারগাঁয়ে ভুয়া ডিগ্রীধারী চিকিৎসককে ১ বছরের কারাদন্ড অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন তিনদিন ধরে তাহিন মিয়া নিখোঁজ সাদিপুর ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ছোট ভাই হত্যার রায় ঘোষনার ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই ছোট ভাই গ্রেপ্তার সোনারগাঁওয়ে ভারত বাংলাদেশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত মাদরাসার তালা ভেঙে লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করার চেষ্টা মাদরাসার তালা ভেঙে লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ নষ্ট করার চেষ্টা উন্নয়নের বার্তা প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দিতে হবে, এমপি খোকা সোনারগাঁয়ের মানব পাচার মামলার পলাতক আসামী গ্রেপ্তার
যে কাজগুলো করলে গরমে আরামে ঘুমাতে পারবেন

যে কাজগুলো করলে গরমে আরামে ঘুমাতে পারবেন

Logo


অসহ্য গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পর রাতের বেলা মানুষ চায় একটু শান্তিতে ঘুমাতে। কিন্তু, ঘুমাতে গেলেও রক্ষা নেই গরম থেকে। ফলে সারাদিনের ক্লান্তি আর দূর হয় না, যার প্রভাব পড়ে পরের দিনের কাজেও।

এদিকে আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত হওয়ায় তাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই। তাই রাতের বেলা শান্তিতে ঘুমাতে পারেন না তারা। অথচ একটু কৌশল অবলম্বন করলে এই গরমেও শান্তিতে ঘুমানো যায় খুব সহজেই। আসুন তাহলে আজ জেনে নেই অনেক গরমে আরামে ঘুমানোর কিছু কৌশল—

১. দিন ও রাতে যদি প্রচণ্ড গরম হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করুন। কারণ, এতে শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় অনেক কমে যাবে। ফলে ঘুমাতে কোনো অসুবিধা হবে না। এমনকি ঘুমটাও গভীর হবে। আর যদি গোসল করা সম্ভব না হয় তাহলে পায়ের পাতা ভিজিয়ে ঘুমুতে যান। দেখবেন স্বস্তিতে ঘুমাতে পারছেন।

২. রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরের কোণে এক বালতি ঠাণ্ডা পানি রাখতে পারেন। তাহলে ফ্যানের বাতাসে বালতির পানি বাষ্পাকারে পরিণত হবে। এতে ঘরের গরম অনেকটাই কমে আসবে। আবার আপনি চাইলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘরের মেঝেতে পানি স্প্রে করতে পারেন। এতেও ঘরের তাপমাত্রা কমবে এবং আপনার ভালো ঘুম হবে।

৩. গরমের সময় জানালা খোলা রেখে ঘুমালেও স্বস্তি লাগে। আবার জানালায় ভারী কাপড় ভিজিয়ে ঝুলিয়ে রাখলেও ঘরের বাইরের বাতাস প্রবেশের সময় ঠাণ্ডা বাতাস পাবেন। এতে রাতের বেলা শান্তিতেই ঘুম হবে আপনার।

৪. ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে একটি ভারী পশমি কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে ঘুমানোর সময় কাপড়টি কপালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ঘুম এসে যাবে আপনার।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে দেড় থেকে ২ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। কারণ, এ সময়ে খাবার পরিপাকের কারণে শরীর গরম থাকে। তাই শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে রাতের খাবারটা আগেই খেয়ে নিন।

৬. সম্ভব হলে বিছানার চাদর রোজ রাতে বদলে নিন। কারণ, পরিষ্কার বিছানায় ঘুমালেই মনে এক রকমের প্রশান্তি আসে; যা ভালো ঘুমাতে সহায়তা করে। তবে এক্ষেত্রে বিছানার চাদর সুতির হওয়াই ভালো।

৭. খুব বেশি ঘামার প্রবণতা থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরে ট্যালকম পাউডার মেখে নিন। এক্ষেত্রে মেনথল ফ্লেভারের পাউডার বেশ আরাম দেবে।

৮. এই গরমে সন্ধ্যায় বা রাতে ব্যায়াম না করাই ভালো। আর যদি করতেই হয় তাহলে ব্যায়ামের পর ভালোভাবে গোসল করে পোশাক বদলে নিন।

৯. গরমের দিনে এক বিছানায় বেশি মানুষ না ঘুমানোই ভালো। সবসময় নিরিবিলিতে ঘুমাবার চেষ্টা করুন। সেটা সম্ভব না হলে পাশের মানুষ ও আপনার মাঝে একটি কোলবালিশ রাখতে পারেন।

১০. ফোমের বিছানায় গরম বেশি লাগে। তাই জাজিম ও তোশক ব্যবহার করুন। গরমে আরামে ঘুমাতে শিমুল তুলার বালিশও ব্যবহার করতে পারেন।

১১. আপনার বাড়ির ভেতরের সঙ্গে বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য যদি বেশি হয় তাহলে বুঝতে হবে গরম বাতাস বাড়ির ভেতর আটকে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে এডজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন। এতে ভেতরের গরম বাতাস বের হয়ে যাবে। ফলে ঘর ঠাণ্ডা হবে। বিশেষ করে রান্নাঘরে অবশ্যই এডজস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন।

১২. বেশি করে পানি পান করুন। গরমের সময় বাড়তি পানি আপনাকে সুস্থ থাকতে ও আরামে ঘুমাতে সহায়তা করবে।

১৩. গোসল না করলেও ভালো করে হাত মুখ ধুয়ে নিন এবং একদম পাতলা আর ঢিলেঢালা পোশাক পরুন ঘুমাতে যাবার জন্য।

১৪. যাদের সিলিং ফ্যানের নিচেও গরম লাগে, তারা একটি স্ট্যান্ড ফ্যান বা টেবিল ফ্যান কিনে নিন (এসির বিকল্প হিসেবে এগুলো দারুণ কার্যকর)। আর বিদ্যুৎ চলে গেলে জানালাগুলো খুলে দিন। পর্দা টানা থাকলেও খোলা জানালা দিয়ে বাতাস প্রবেশ করবে ঘরে।

১৫. বিছানার তুলনায় ঘরের মেঝে ঠাণ্ডা থাকে। তোশকের চেয়ে কম আরামের হলেও এতে অনেক গরম কম লাগে। গরম বাতাস উপরে দিকে থাকে বেশি। তাই মেঝেতে ঘুমানো আরামদায়ক। চাইলে ঘুমানোর আগে ঘরের মেঝে পানি দিয়ে মুছে নিতে পারেন। শুকানোর পর পাটি বিছিয়ে শুয়ে পড়ুন।

১৬. সকেট থেকে প্লাগ খুলে রাখুন, আলো সব নিভিয়ে দিন, ইলেক্ট্রনিক্স গেজেটগুলোর ব্যবহার রাখুন কম। এসব গেজেট তাপ উৎপাদন করে যা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ফোন এবং ল্যাপটপ রাখুন বিছানা থেকে দূরে। মোট কথা ঘর ঠান্ডা রাখার জন্যে যা করণীয় তাই করুন।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution