নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
আগামী ৩১ মার্চ সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকা ও ঘোড়া সমর্থকদের মধ্যে চলছে টান টান উত্তেজনা। এর আগেও বিগত নির্বাচনে এ দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে ছিল বাঘে মহিষের সর্ম্পক। সে সর্ম্পক এখন সংঘর্ষে রূপ নিচ্ছে। বিশেষ করে উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়াকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রতিকের মনোনয়ন পাওয়া মোশারফ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কালামের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে পুলিশ মোশারফ হোসেনের সমর্থকদের মাঠ থেকে বের করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
জানাগেছে, মনোনয়নপত্র জমার শেষ দিনে দুপুর ৩ থেকে ৪ টার মধ্যে নৌকার প্রার্থী মোশারফ হোসেনকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় বেধে দেওয়া হয়। নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রার্থী মোশারফ হোসেন সাড়ে ৩টায় উপজেলা মাঠে প্রবেশ করে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের জন্য অপেক্ষা করতে করতে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত উপজেলা মাঠে অবস্থান করেন। এদিকে, সাড়ে ৪টার দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান কালামও তার কর্মী সমর্থকরা মাঠে প্রবেশ করেন। এসময় নৌকার সমর্থকরা মাঠ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকরা ঘোড়ার শ্লোগান দিয়ে মাঠ দখলের চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে মোশারফ হোসেনের সমর্থরা কালামের সমর্থকদের ধাওয়া দেয়ার চেষ্টা করলে শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংর্ঘষ। সংঘর্ষে মোশারফ হোসেনের সমর্থক মোগরাপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিবসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করে মাহফুজুর কালামের সর্থকরা। পরে পুলিশ লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে নৌকার মনোনয়ন প্রার্থী মোশারফ হোসেন জানান, স্বতস্ত্র প্রার্থী কালামের লোকজন হামলা চালিয়ে আমার নেতাকর্মীদের আহত করেছে।
অপরদিকে, মাহফুজুর রহমান কালাম জানান, মোশারফ হোসেনের সর্থকরা আমার নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এ ছাড়া বেশী কিছু আমার জানা নেই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন ভাবে মনোনয়ন প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। বাহিরে কি হয়েছে সেটা আমি জানিনা।