নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:

নিজের মাদক সম্রাজ্য গড়ে তোলার জন্য কৌশলে রাজনৈতিক নেতাদের ছায়া তলে আশ্রায় নেন র‌্যাবের সাথে বন্দুর যুদ্ধে নিহত বিয়ার আলমগীর। বিয়ার আলমগীর মাদক ব্যবসায় যেমন ছিলেন পাকা তেমনি রাজনৈতিক কুট কৌশলেও ছিলেন পাকা। মাদক ব্যবসার অন্তরালে তিনি বিএনপির রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হয়ে যান। সে সুবাদে কেন্দ্রীয় জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন বিএনপির নেতাদের সাথে সু-সর্ম্পকের কারণে তরুন দলের পদটিও বাগিয়ে নেন। ব্যক্তি জীবনেও তিনি ছিলেন মিষ্টি ভাষী তারই অনেক বড় বড় নেতারা ও তাকে আদর করে কাছে টেনে নেন। আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে সোনারগাঁ উপজেলার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী তালিকা নাম থাকলেও সব নেতার আস্থা কুড়াতে সক্ষম হন। আর রাজনৈতিক তোকমা ব্যবহার করে মাদক ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। আর তার সে টাকা ব্যবহার করতেন রাজনীতিবিদদের পেছনে। যার ফলে অল্প দিনের তিনি সবার কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে যান। সে এতো কুটকৌশল কাজে লাগিয়েও র‌্যাবের জাল থেকে মুক্ত হতে পারেননি। রাজনৈতিক আশ্রয়ে থেকেও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত থাকায় বিয়ার আলমগীরের বিরুদ্ধে ১৬টি মাদকসহ ২১টি মামলা ছিলো। মাদকের জন্য জেল খেয়েছেন ৫বার। অবশেষে মঙ্গলবার ভোর রাতে পিরোজপুর ইউপির চেঙ্গাকান্দি বালুর মাঠে র‌্যাবের সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হন। তার নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে উপজেলার অনেক বিএনপি নেতা তাদের ফেইসবুক আইডিতে ছবি পোষ্ট করে তার প্রতি সমবেদনা জানান। বিশেষ করে তার শেল্টার দাতা উপজেলা বিএনপির সাবেক যুবদল নেতা আশ্রাফ মিয়া তাকে নিয়ে অনেক অন্তরঙ্গ ছবি পোষ্ট করে তাকে একজন নিরিহ নেতা হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালান। মুলত তিনি তাকে মাদক ব্যবসায়ী বানাতে সাহায্য করে এবং তার কাজ থেকে মোটা অংকের টাকার ভাগ নিতেন বলে জানিয়েছেন অনেক বিএনপি নেতা।