নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম : পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই সোনারগাঁ উপজেলার বাড়ী মজলিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে ময়লাযুক্ত হাটু পানি পেরিয়ে স্কুল করেন কোমনমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের সামনের স্থানীয় দোকানদার ও স্কুল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে ময়লা যুক্ত পানি পেরিয়ে স্কুলে প্রবেশ করার কারণে পানি বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
জানাগেছে, সোনারগাঁ উপজেলার বাড়ী মজলিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি আজ থেকে শত বছর আগে উপজেলা জনবসতি ও গুরুত্বপুর্ন এলাকায় নির্মাণ করা হয়। এক সময় বিদ্যালয়টি চারপাশ সুন্দর ও প্রাকৃতিক পরিবেশে বিরাজমান থাকায় প্রচুর শিক্ষার্থী এখানে পড়ালেখা করতে আসতেন। সময়ের সাথে সাথে বিদ্যালয়টির আশপাশে রাস্তা, বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ হওয়ার কারণে ধীরে ধীরে বিদ্যালয়টি নিচু ও প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট হতে থাকে। বর্তমানে স্কুলটির মুল ফটকের সামনে দিয়ে পানি নিস্কাশনের একটি ড্রেন নির্মান করা হয়েছে কিন্তু আশপাশের ময়লা আবর্জনা কারণে সেই ড্রেন বন্ধ হয়ে ড্রেনের পানি স্কুলের মুল ফটক দিয়ে স্কুলের মাঠে প্রবেশ করে আর এ পানি পেরিয়ে প্রতিদিনই ক্লাস করেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি পেরিয়ে স্কুলে প্রবেশ করার কারণে পানি বাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বাড়ী মজলিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সোনারগাঁয়ের মুল এলাকাটিতে অবিস্থত। এ স্কুলের সামনে দিয়ে এমপি চেয়ারম্যান ও প্রশাসনের লোকজন চলাচল করেন। এই হিসেবে স্কুলটির পরিবেশ অন্যান্য স্কুলের চেয়ে ভালো হবার কথা কিন্তু এ স্কুলটির এমন বেহাল দশা তা কেউ খেয়াল করেন না। সামান্য বৃষ্টি হলেই স্কুলটির সামনে ও ভেতরে হাটু পানি জমে থাকে। সেই পানির সাথে নানা প্রকার ময়লা আবর্জনা ভেসে স্কুলের ভেতর প্রবেশ করে আর এই ময়লা পানি পেরিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা স্কুলে ক্লাস করে। এতে জ¦র, ঠান্ডা কাশিসহ বিভিন্ন পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে আমাদের শিশুরা।
পানির বিষয়ে বাড়ী মজলিশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নারগিছ আক্তার জানান, আমাদের বিদ্যালয়ের সামনে মার্কেট ও কয়েকটি রেস্টুরেন্ট তৈরী করা হয়েছে। রাতের আধারে তারা তাদের হোটেলের সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা ও পানি ড্রেনে ফেলে। ফলে ড্রেনটি দিনে দিনে ভরাট হয়ে গিয়ে বৃষ্টির পানি কোথাও নামতে না পেরে স্কুলের সামনে ও বিদ্যালয়ের মাঠে প্রবেশ করে হাটু পানি হয়ে যায়। আমরা বিভিন্ন সময় মার্কেট ও হোটেল মালিকদেরকে এখানে ময়লা ফেলতে নিষেধ করেছি কিন্তু তারা শুনেছি। সেজন্য আমি আমার স্কুলের সভাপতিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পানির বিষয়টি জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে বাড়ী মজলিশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেদ জানান, পানি জমে থাকার বিষয়টি আমি জানি। জেনে স্কুলের সামনের ড্রেনটি পরিস্কার ও সংস্কারের জন্য উপজেলাকে জানিয়েছি। উপজেলা থেকে টাকা বরাদ্ধ হয়েছে শীঘ্রই কাজ শুরু হবে কাজ শেষ হলেই এই সমস্যা থেকে শিক্ষার্থীরা মুক্তি যাবে।