আর্য়ুবেদ বলে

রাতে কলা খাওয়ার মধ্যে কোনও অসুবিধে নেই কিন্তু সর্দিকাশির ধাত থাকলে রাতে কলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কারণ কলা হজম করতে সময় লাগে এবং শরীরে অতিরিক্ত ক্লান্তি ডেকে আনে।

2/8রাতে কলা খাওয়া খারাপ! তাই ?

পুষ্টিবিদরা বলেন

শশাঙ্ক রাজন জানাচ্ছেন, কলা স্বাস্থ্যকর এবং শক্তিবর্ধক একটি ফল। যে কোনও রকম শরীরচর্চা বা জিমের পর কলা খাওয়ার অভ্যেস থাকলে ভালো। কিন্তু যাদের অ্যাজমা আছে, কফ, সর্দিকাশির মতো সমস্যা আছে তাদের কলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

পাকস্থলি থেকে অ্যাসিড ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে

কোনও মশলাদার খাবার খাওয়ার পর ডেজার্ট হিসেবে কলা খান। আধুনিক গবেষণা তাই বলছে। রাতের বেলা অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার খেলে তারপর কলা খান। এরফলে পাকস্থলি থেকে অতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ নিয়ন্ত্রন হয় এবং অন্যান্য অসুবিধা দূরে থাকে।

অতিরিক্ত পরিশ্রমের পর

কলার মধ্যে পটাশিয়াম থাকে। যা ক্লান্তি থেকে পেশিকে আরাম দেয়। অফিস থেকে ফিরে সন্ধেতে একটা বা দুটো কলা খেতে পারেন। এর ফলে রাতে ঘুম ভালো হবে। শশাঙ্ক আরো জানান, একটা কলার মধ্যে ৪৮৭ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম থাকে। যা আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় পটাশিয়ামের ১০ শতাংশের চাহিদা পূরণ করে।

স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য

একটা কলায় ক্যালোরির পরিমাণ ১০৫। যদি আপনি ডিনারে মোট ৫০০ ক্যালোরির খাবার খান তাহলে দুটো কলা আর এক কাপ স্কিমড মিল্ক একেবারে পারফেক্ট।

মিষ্টিপ্রেমীদের জন্য

মিষ্টি খাওয়া বারণ অথচ রাতে ঘুমোনোর আগে মিষ্টির জন্য মন আনচান করে অনেকের। তারা রাতে খাওয়ার পর কলা খান। কলাতে মিষ্টি তো থাকেই এছাড়াও ফাইবার আর ভিটামিন শরীরের পুষ্টির কাজে লাগবে।

সবশেষে বলার

কলার পুষ্টিমূল্য অনেক তা তো জানলেন। আর রাতে কলা খেলে ঘুম ভালো হয়। তাই রাতে কলা খাওয়া উচিত নয় এই ধারণা পুরোপুরি ঠিক নয়। তবে ঠান্ডা লাগার ধাত থাকলে এবং শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা থাকলে অবশ্যই কলা এড়িয়ে চলুন।

সাধারণভাবে আমাদের ধারণা রাতে কোনওরকম ফল খেতে নেই। বিশেষত কলা। বলা হয় কলা খেলে অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা দেখা যায়। তাই কলাকে আমরা ব্রেকফাস্টের মেনুতেই দেখি। এছাড়াও আমাদের দেশে সারাবছর সহজলভ্য ফলের মধ্যে অন্যতম কলা। দামেও কম। পুষ্টি আর প্রয়োজনীয় খনিজে ঠাসা। এবার দেখা যাক রাতে কলা খাওয়া যায় কিনা এবিষয়ে কী কী মতভেদ রয়েছে।