নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফারুক ওমরকে নিয়ে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি দলের নেতা হিসেবে দাবি করে গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বির্তক শুরু হয়েছে। ফারুক ওমর বর্তমানে আওয়ামীলীগের অংঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দাবি করলেও তাকে বিএনপির একজন নেতা হিসেবেও দাবি করা হচ্ছে বিএনপির পক্ষ থেকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে তুমুল বির্তক। প্রতিদ্ধন্দ্বি প্রার্থী ফারুক ওমম কাঁচপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ ও উপজেলা পরিষদেরর ভাইস চেয়ারম্যান বাবু ওমরের ছোট ভাই।
জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সাধারণ সদস্য হিসেবে সোনারগাঁ উপজেলা থেকে প্রতিদ্ধন্দ্ধিতা করছেন ফারুক ওমর। তার সাথে আরো ৪ জন প্রার্থী জেলা পরিষদ সদস্য পদে সোনারগাঁ থেকে নির্বাচন করার জন্য প্রতিদ্ধন্দ্বিতা করছেন। ফারুক ওমর এক সময় বিএনপি রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। সে সময় তিনি থানা বিএনপি নেতা আপেলের সাথে ছাত্রদলের রাজনীতি করতেন। তখন আপেলের সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে বিএনপির পক্ষে আন্দোলন ও গণসংযোগ করেছেন। কিন্তু ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের সদস্য প্রার্থী ফারুক ওমর ধানের শীষের পক্ষে গন সংযোগ করেন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফারুক ওমর ভোল্ট পালটিয়ে রাতারাতি শ্রমিকলীগ নেতা বনে যান। এর থেকে তার বড় ভাই আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ ওমর ও বাবু ওমরের পক্ষে ফারুক ওমর আওয়ামীলীগের হয়ে কাজ শুরু করেন। এর পর ফারুক ওমর শ্রমিকলীগ নেতা থেকে স্বেচ্ছেসেবক নেতা হিসেবে উপজেলা জুড়ে ব্যানার ফেস্টুন লাগিয়ে নিজেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন।
এদিকে ফারুক ওমর জেলা পরিষদের সদস্য পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করার পর তাকে নিয়ে বির্তক শুরু হয় দেশের সবচেয়ে বড় দুটিদল আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মধ্যে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ফারুক ওমরের সমর্থকরা ফারুক ওমরকে আওয়ামীলীগের নেতা হিসেবে দাবি করে আসলেও বিএনপির একটি পক্ষ ফারুক ওমরকে তাদের দলীয় নেতা হিসেবে দাবি করে তার পুরোনো রাজনৈতিক জীবনের কিছু ছবি ফেসবুকে পোষ্ট দিচ্ছেন। সেখানে দেখা গেছে ফারুক ওমর সাবেক যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালক ও থানা বিএনপি নেতা ওয়ালিউল্লাহ আপেলের উপজেলা বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করছেন।
বিএনপির নেতারা জানান, ফারুক ওমর একজন ত্যাগী বিএনপি নেতা ছিলো। ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে সে সক্রিয় ভাবে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল। ২০১৩ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচনে অংশ গ্রহন না করায় ও বিএনপির রাজনীতি থেকে আপেল সাহেব দুরে সরে যাওয়ায় সে বিএনপি থেকে ব্যাকফুটে চলে যায়। পরে তার ভাইয়েরা ক্ষমতা পাওয়ার পর সেও আওয়ামীলীগের পোষ্টার ব্যানার করে আওয়ামীলীগ নেতা বনে যান।
এদিকে ফারুক এর কর্মী সমর্থকরা জানান, ফারুক ওমর কখনই বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে তাকে ব্যক্তিগত রাজনৈতিক হেয় প্রতিপন্ন করতে ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে জোর বিএনপি নেতা বানানো যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফারুক ওমর জানান, কিছু লোক উম্মাদ হয়ে গেছে। আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ফেসবুকে আমার ছবি দিয়ে অপ্রচার চালাচ্ছে। ফেসবুকে ছবি সর্ম্পকে তিরি বলেন, একজন লোকের সাথে আরেকজন লোকের ছবি থাকতেই পরে সেজন্য সে তার লোক হয়ে যায় না।