নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভার টিপুর্দী এলাকায় অবস্থিত একটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের অন্যের ফসলি জমির উপর দিয়ে জোড়পূর্বক বর্জ্য নিস্কাশনের ড্রেন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিকরা প্রতিকার চেয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন।
এলাকাবাসী জানান, সোনারগাঁও পৌরসভার টিপুর্দী এলাকায় অবস্থিত চৈতি কম্পোজিট লিমিটেড প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটি কয়েক হাজার লিটার বর্জ্য পানি ফসলি জমি ও টিরর্দী খালে ফেলে পানি দূষন করছে। বর্জ্যের কারণে পৌরসভা, সনমান্দি, মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর ইউনিয়নে কয়েক হাজার ফসলি জমির ফসল ও মিঠা পানির মাছ ও জীব বৈচিত্র্য ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে এ পানি এ সব এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। এছাড়া চৈতির বর্জ্য খালের মাধ্যমে মারীখালি নদী হয়ে মেঘনা ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদের পানিকেও দূষিত করছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় লোকজন মানববন্ধন ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে ব্যর্থ হয়েছে। এদিকে, গত কয়েক দিন ধরে চৈতি কোম্পনীর বর্জ্য টিপর্দী খালে ফেলতে কৃষকের জমির উপর দিয়ে জোড় পূর্বক ড্রেন নির্মাণের পায়তারা করছে। তাদের এ কাজে সহায়তা করছে পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন। তার মাধ্যমে জোড় পূর্বক জমির উপর পাইপের মাধ্যমে স্থায়ী ড্রেণ নির্মানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ব্যাপারে জমির মালিকরা নিষেধ করলেও তারা তা অমান্য করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান, এ ড্রেনটি নির্মাণ করতে পারলে চৈতি সরাসরি তার কয়েক হাজার লিটার বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলবে যা খাল হয়ে মেরীখালি নদী প্রবাহিত হয়ে মেঘনা ও ব্রক্ষ্মপুত্র পড়বে। এতে মেঘনা ও ব্রক্ষ¥পুত্র নদীর পানি দুষিত হয়ে হুমকির মুখে পড়বে দুটি নদী। এরআগে পরিবেশ ও নদীর রক্ষার জন্য স্থানীয় সংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা সরেজমিনে বর্জ্য নিস্কাশন পরিদর্শন করে চৈতি কম্পোজিটের বর্জ্য পানি নিস্কাশন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু চৈতি গ্রুপ অদৃশ্য শক্তির বলে ফের বন্ধ করা ড্রেন খুলে বর্জ্য ফেলে এলাকা মারাত্মক দুষণ করেছে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায় চৈতি গ্রুপের পক্ষে মোশারফ মোটা পাইন এনে স্থানীয় কৃষকের জমির উপর দিয়ে বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে পাইন বসিয়ে টিপুর্দী খাল পর্যন্ত একটি ড্রেন নির্মানের কাজ করছে। স্থানীয় জমির মালিকরা বাঁধা দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় জমির মালিক হাজী শাকিল জানান, চৈতি গ্রুপ স্থানীয় সাবেক কমিশনার মোশারফ হোসেনের মাধ্যমে আমার জমির উপর দিয়ে জোড়পূর্বক পাইন বসিয়ে ড্রেণ নির্মাণ করছে। আমি বাঁধা দেয়ায় কোম্পানীর লোকজন আমাদের সাথে বসে ক্ষতিপুরণ দিয়ে কাজ চালু করবে। কিন্তু তারা তা না জোড়পুর্বক পাইপ বসানোর কাজ করছে।
এ ব্যাপারে সাবেক কাউন্সিলর মোশারফ হোসেন জানান, পাইপ নির্মাণ কাজে আমি জড়িত নই। কোম্পনী নিজেরাই পাইপ নির্মানের কাজ করছে।
এ ব্যাপারে চৈতি কম্পোজিটের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের প্রতিষ্ঠান কারো জমি দখল করে কোন কাজ করে না।