নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) জাহাঙ্গীর আলম রাসেলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রীকে মর্যাদা না দেওয়া ও ভরন পোষন না দেওয়ায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার গতকাল বুধবার সকালে তিনি রেজিষ্ট্রি ডাকের মাধ্যমে ডিজির বরাবর এ অভিযোগ দায়ের করেন। এছাড়াও তিনি এ অভিযোগের অনুলিপি পাঠিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার, নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। এর আগে তিনি এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
(সেকমোর) দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া আক্তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রায় ৬ বছর আগে তার ছেলের শারিরিক অসুস্থ্যতার জন্য বিকেল বেলায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে যান। ওই সময় সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (সেকমো) জাহাঙ্গীর আলম রাসেল নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে তার ছেলের চিকিৎসা করেন। ওই সময় সোনিয়ার মোবাইল নাম্বার কৌশলে সংগ্রহ করে রাখেন জাহাঙ্গীর আলম। ২/৩দিন পর তার ছেলের শারিরিক সুস্থ্যতার খবর নিতে গিয়ে তাদের মধ্যে সখ্যতা গড়ে উঠে। তারপর থেকে বিভিন্ন সময়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে কথাবর্তা হয়। এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর আলম রাসেল ও সোনিয়ার শারিরিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ড বয় মোস্তাফার বাড়িতে গিয়ে মসজিদের ইমামের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন। এ বিয়ে স্ত্রী সোনিয়া রেজিষ্ট্রি করতে চাপ দিলে তাদের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। সেকমো জাহাঙ্গীর আলম তাকে দ্বিতীয় স্ত্রীর মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন। প্রথম স্ত্রী জান্নাতুল কোবরাও এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একই পদে চাকুরি করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সেকমো রাসেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা নারী রোগীদের বেøকমেইল করে নাম্বার সংগ্রহ করে তাদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সেকমো জাহাঙ্গীর আলম রাসেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাকে সে বøাকমেইল করছে। এগুলো ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। এটা নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা
ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, অভিযোগের অনুলিপি এখনো পাইনি। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।