নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের আষাঢ়িয়ারচর ব্রিজের নিচে মেইন লাইনের গ্যাস সঞ্চালন পাইপের কাজ করা শনিবার ুসারা দিন গ্যাস বন্ধ রাখে তিতাস ডিস্টিভিউশন কোং সোনারগাঁ শাখা। সে জন্য তারা উপজেলার কয়েকটি স্থানে মাইকিং করে। মাইকিংয়ে বলা হয় সোনারগাঁ শাখার মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর ইউনিয়নের কিছু এলাকার আবাসিক ও বানিজ্যিক লাইন বন্ধ থাকবে। কিন্তু মাইকিংয়ে করা কথা রাখতে পারেনি তিতাস। শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত গ্যাস বন্ধ রাখার ঘোষনা দিলেও তারা সকাল ১০টা ৫ মিনিটি পুরো উপজেলার গ্যাস বন্ধ করে দেয়। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়ে পুরো উপজেলার জনগন। গ্যাস না থাকার করনে অনেক বাসা বাড়িতে রান্না করতে পারেনি অনেক পরিবার। সেজন্য অনেকে হোটেল থেকে খাবার কিনে এনে পরিবারকে খেতে দিতে হয়েছে। অনেকে আবার অনেক কষ্ট করে লাকলি জোগার করে ইটের উপর বসিয়ে খাবার রান্না করেছে।
শনিবার সকাল থেকে উপজেলার মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর এলাকার কয়েকটি স্থানে গ্যাস সঞ্চালন বন্ধ থাকবে বলে মাইকিং করে তিতাস গ্যাস ডিস্টিভিউশন কোং লিঃ। তারা জানান, শনিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত মোগরাপাড়া ও পিরোজপুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে গ্যাস থাকবে না। কারণ হিসেবে তারা জানান, আষাঢ়িয়ারচর এলাকায় মেইন পাইপ লাইনে সংস্কার কাজ করা হবে। কিন্তু শনিবার সকাল ১০টায় দেখা গেল এক যোগে উপজেলা সকল স্থানে গ্যাস বন্ধ হয়ে যায়। এতে ভোগান্তীতে পড়ে উপজেলাবাসী। দীর্ঘদিনে অভ্যাস হয়ে যাওয়া লোকজন পড়ে বিপাকে। গ্যাস না থাকায় কিভাবে তারা রান্না করবে সে চিন্তায় অস্থির হয়ে পরিবারের নারীরা। ফলে অনেকে দুরদুরান্ত থেকে কাঠ সংগ্রহ ইটের উপর চুলা বসিয়ে কোন মতে ভাত ও আলু সিদ্ধ করে দুপুরের খাবার পর্ব শেষ করেন। অনেকে আবার হোটের থেকে খাবার কিনে এনেও খাবার খান। তবে, সবচেয়ে বেশী দূর্ভোগে পড়েছে হাসপাতাল ও মিল ইন্ডাষ্টিজের মেজগুলি। সেখানে একসাথে এত লোকের খাবার রান্না করাও যেমন ঝামেলা তেমননি খাবার কিনে এনে দেয়াও ঝামেলা। তবে, তিতাসের এক রকম কান্ড জ্ঞানহীন কাজে অবাক হয়েছেন অনেকেই। তারা জানান, গ্যাস লাইনে সমস্যা হলে কাজ করবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু তারা মাইকিং করলো কিছু এলাকা আর বন্ধ রাখলো পুরো উপজেলা এটা ঠিক না। এ ভোগান্তীর জন্য তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত।
সোনারগাঁও পৌরসভার চিলারবাগ গ্রামের মানিক মিয়া জানান, তিতাস মাইকিং করে বলেছে ২টি ইউনিয়নে কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না। আজ আমার ছেলের বৌভাত। হঠাৎ দেখি ১০টার সময় গ্যাস বন্ধ। এসময় আমি পড়ে যাই বিপাকে। এতে লোকের রান্না কিভাবে করবো। পরে অনেক দুর থেকে কাঠ কিনে এনে বাড়ীর ছাদে খাবার রান্না করি।
এ ব্যাপারে তিতাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কোন স্বউত্তর দিতে পারেনি।