নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই সোনারগাঁয়ে ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পশুর হাট বসিয়েছেন ইজারাদাররা। এতে ওইসব বিদ্যালয়ে পাঠদান ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি গবাদি পশুর মলমূত্রে নষ্ট হচ্ছে সার্বিক পরিবেশ।
সোনারগাঁ উপজেলা সূত্রে জানা গেছে, এবার কোরবানি উপলক্ষে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন ২০টি পশুর হাটের অনুমোদন চেয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক উপজেলায় ২০টি হাটেরই ইজারা দেয়ার অনুমোদন দেন। উপজেলা প্রশাসন ২০টি হাটের দরপত্র আহবান করলে প্রথমে ১৪টি হাট ও পরে ২টি হাটের নামে মাত্র কিছু টাকায় ইজারা নেন ইজারাদারা। তবে কোনোভাবেই এসব হাট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রধান সড়কে বসানো যাবে না এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারদের নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি সতর্কও করা হয়েছে।
কিন্তু পশুর হাট বসানোর জন্য প্রশাসনের যে নির্দেশনা রয়েছে, তা মানছেন না উপজেলার ২টি পশুর হাটের ইজারাদার। তারা সরকারী নির্দেশ অমান্য করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠেই বসিয়েছেন পশুর হাট। স্থানীয়রা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।
সরেজমিন উপজেলার হোসেনপুর এসপি ইউনিয়ন কলেজে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির মাঠে বসানো হয়েছে কোরবানির পশুর হাট। এ হাটটির ইজারা নিয়েছিলেন মহিউদ্দিন শাহীন ২৫ হাজার ৫শত টাকায়। আর হাটটি বসানোর জন্য ইজারা দেয়া হয়েছিল হোসেনপুর কবরস্থান সংলগ্ম বালুর মাঠে। কিন্তু সেখানে হাট না বসিয়ে কলেজ মাঠে হাট বসানো হয়েছে। এতে হই-হট্টগোলের মধ্যে পরিক্ষা নিচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তবে কলেজটি অধ্যক্ষ ইজারাদারের পক্ষ নিয়ে জানিয়েছেন গরুর হাট বসালেও শিক্ষার্থীদের কোন সমস্যা হচ্ছে না। আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই কলেজ মাঠে হাট বসিয়েছি।
তবে, স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এ হাটটি প্রতি বছরই কবরস্থানে বসানোর কথা থাকলেও ইজারাদাররা কলেজ অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করে কলেজ মাঠে গরুর হাট বসান। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার বেঘাত যেমন ঘটছে তেমনি নষ্ট হচ্ছে সার্বিক পরিবেশ।
এভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে পশুর হাট বসানোর অনুমতি আছে কিনা, জানতে চাইলে এ হাটের ইজারাদার মহিউদ্দিন শাহীন বলেন, ওই স্কুলের পাশের মাঠে গরুর হাট বসানোর জন্য প্রশাসন থেকে অনুমতি পেয়েছি।
শুধু হোসেনপুরই নয়, একইভাবে হাট বসানো হয়েছে সোনারগাঁও সরকারী ডিগ্রী কলেজ মাঠেও। এ মাঠটির ইজারা নিয়েছেন সাইফুল ইসলাম বাবু নামের এক ইজারাদার। তিনি হাটটি ইজারা পেয়েছেন ২৬ হাজার টাকায়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইজারাদারের দাবি, বিদ্যালয়ের মাঠে হাট বসানোর জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি নেয়া হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও এ বিষয়ে সমন্বয় করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হয়ে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোনটি রিসিফ করেনি।