নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যায় তৃতীয় দফায় প্রথম দিনের মত উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডাব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল, উপ-পরিচালক মোঃ শহিদুল্লাহ, সহকারী পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ সহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। এসময় একটি জাহাজ, একটি ভেকু, একটি টাগ বোটসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ, আনসার সদস্য ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীর দখল করে গড়ে উঠা নওয়াব মালেক জুট মিলের পাকা দেয়াল, স্বদেশ কেমিক্যাল কোম্পানির গোডাউন (আংশিক), সুপারক্রীট সিমেন্ট কারখানার সেমিপাকা ঘর, ১৩টি পাকা ভবন, ১টি দোতলা পাকা ভবনসহ ৩৬ টি স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়।
বিআইডাব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক মোঃ শহিদুল্লাহ জানান, শীতলক্ষ্যার তীরে ৫০১১টি সীমানা পিলার নিয়ে আমাদের আপত্তি রয়ে। সিএস ও আরএস অনুযায়ী উচ্চ আদালতের নির্দেশে ধারাবাহিক ভাবে এ উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নদীর তীর দখল করে গড়ে উঠা সবরকমের স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তৃতীয় দফায় আগামী রোববার পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী উচ্ছেদ অভিযান চলবে।