নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা প্রাদূর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে জামপুর ইউনিয়নের প্রতিটি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাবার সমাগ্রী পৌছে দিতে অপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু। কখনো ব্যক্তিগত উদ্যোগে কখনো প্রধানমন্ত্রীর দেয়া উপহার সামগ্রী নিজ হাতে প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিচ্ছেন তিনি। এ পর্যন্ত জামপুর ইউনিয়নে তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে প্রায় ৩ হাজার অসহায় অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে এসব খাবার বিতরণ করেছেন। কখনো দিনের আলোতে আবার কখনো রাতে আধারে ঘরে ঘরে নিয় যাচ্ছেন এসব খাদ্য সামগ্রী। খাবার পৌচ্ছানোর জন্য একটি হটলাইনও চালু করেছেন তিনি।

জানাগেছে, গত মার্চ ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর মার্চ মাসের ২৬ তারিখে সারা দেশের সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত, ব্যবসা বানিজ্য ও গণ পরিবহন বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর গত ৭ এপ্রিল পুরো সোনারগাঁয়ে লক ডাউন ঘোষনা করা হয়। এদিকে সরকার সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর বেকার হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। এসব মানুষের খাবার নিশ্চিত করতে সরকারী বেসরকারী ও বিভিন্ন সংগঠন এগিয়ে আসে। এলাকায় খুঁজে খুজে দুস্থ ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন। এর ব্যতিক্রম হয়নি উপজেলা জামপুর ইউনিয়নে। জামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও বিভিন্ন ব্যক্তি উদ্যোগে এসব দুস্থ ও অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়। জামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হামীম সিকদার শিপলুর নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডে গঠন করা হয় স্বেচ্ছাসেবী। সেই স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে প্রতিটি গ্রাম ও ওয়ার্ডে অস্বচ্ছল ও কিছু মধ্যবিত্তদের তালিকা করা হয়। সেই তালিকা অনুযায়ী সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিনিয়ত ত্রান বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চেয়ারম্যান শিপলুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় ৩ হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। দিনের আলোতে আবার কখনো রাতের আধারে প্রতিটি অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে খাবার নিয়ে ছুটে গিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেয়া খাবার সহায়তাও পৌছে দিয়েছেন প্রতিটি অসহায়ের ঘরে। ঈদকে সামনে রেখে ঈদ সামগ্রীও পৌছে দেয়া হচ্ছে অসহায় পরিবারের মাঝে।

এ ব্যাপারে জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হামীম শিকদার শিপলু জানান, করোনা প্রাদূর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে আমার নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩ হাজার অস্বচ্ছল ও কিছু মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। খাদ্য সহায়তা পৌছে দেয়ার জন্য একটি হটলাইনও চালু রাখা হয়েছে। তাৎক্ষনিক কোন অসহায় মানুষ ফোন করলে গোপনে তাদের ঘরে খাবার পৌছে দেয়ারও ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সরকার ত্রাণ সততার সাথে প্রতিটি অসহায় মানুষের কাছে পৌছে দিতে সচেষ্ট হয়েছি। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে আরো হাজার খানেক অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী পৌছে দেয়ার চেষ্টা করছি।