নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলায় ২৪ বছরের এক গার্মেন্ট কর্মীকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে ৭ ধর্ষক পালাক্রমে গণধর্ষণ করেছেস জানাগেছে। এ ঘটনায় ওই গার্মেন্ট কর্মী বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত ৫ ধর্ষককে আটক করেছে তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ধর্ষকরা হলে জামপুর ব্রক্ষ্মনবাওগাঁও গ্রামের মোঃ মুজিবুর রহমানের ছেলে আবু সাঈদ (২৫), মোঃ রেহাজ উদ্দিনের ছেলে ইমরান (২৩), নবী হোসেনের ছেলে রনি মিয়া (২০), আবু সিদ্দিক মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন (৩২), বাগবাড়িয়া গ্রামের ভুট্রো মিয়ার ছেলে মাসুদ (২২)। এছাড়া ব্রক্ষ্মনবাওগাঁও গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আরিফ (১৯) ও মৃত সামসুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর (২৮) পলাতক রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, গার্মেন্ট কর্মীকে একটি সিএনজিতে করে তুলে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রেখে মুখে স্কচস্টেপ পেচিয়ে ৭জন মিলে গণধর্ষন করেছে। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে ধর্ষিতা বাদি হয়ে ৭জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ধর্ষিতা তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, উপজেলার রূপগঞ্জ রবিন টেক্স গার্মেন্ট থেকে ছুটি শেষে তার বাড়ি গাউছিয়া উদ্দেশ্যে একটি অজ্ঞাত সিএনজিতে উঠে। সেখানে দেখতে পাই জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি সিএনজিটির পিছনের সিটে বসে আসে। পরে সে গাউছিয়া আসার পর সিএনজিটি থেকে নামতে বললে কার সাথে বসা জাহাঙ্গীর চালককে বাঁধা দেয় এবং গার্মেন্ট কর্মীর মুখে স্কচটেপ পেচিয়ে সিএনজিটিক সোনারগাঁয়ের তালতলা এলাকার দিকে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার ৭টার দিকে সিএনজিটি ব্রক্ষনবাওগাঁ এলাকার জৈনিক হালিম মিয়ার একটি দোচালা ঘরে নিয়ে যায়। ঘরে প্রবেশ করে দেখে আবু সাইদ ও আরিফ নামের ২ ধর্ষক আগে থেকে সেখানে অবস্থান করছে। পরে গার্মেন্ট কর্মীকে প্রথমে আবু সাঈদ জোর পূর্বক ধর্ষন করে। পরে একে একে ৭জন মিলে তাকে গণধর্ষন করে। এদিকে, রাত ৩টার দিকে হালিম মিয়া বাড়িতে এসে এ ঘটনা দেখার পর মেয়েটিকে ছেড়ে দিতে ধর্ষকদের অনুরোধ করে। কিন্ত ধর্ষকরা গার্মেন্টকর্মীকে ছাড়তে রাজি না হওয়ায় হালিম মিয়ার আশপাশের লোকজনের সহায়তায় তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ সেখান থেকে ধর্ষিকাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদি হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক আবু সাঈদ, ইমরান, মোঃ রনি মিয়া, আবুল হোসেন, মাসুদকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।