নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাবো এলাকায় অবস্থিত তাজমহল পিরামিডের ভেতর অবৈধ গেষ্ট হাউজে এক তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১।
রূপগঞ্জ উপজেলার শিমুলিয়া এলাকার পুর্বাচল উপশহরে অবস্থিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ এর সিপিসি-৩ এর ক্যাম্পে র্যাবের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক শাহাদাত র্যাবের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
১৮ ফেব্রুয়ারী সোমবার দুপুরে র্যাব-১ এর সিপিসি-৩ এর পূর্বাচল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর আব্দুল্লা আল মেহেদী ও এএসপি সুজয় সরকার এ সংবাদ সম্মেলন করেন। গ্রেফতারকৃত শাহাদাত রূপগঞ্জ উপজেলার মধুখালী এলাকার মৃত শাহাবউদ্দিনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাব এলাকার এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার সকালে গাজীপুরের কোনাবাড়ী এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্ষক শাহাদাতকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা।
গ্রেফতারকৃত শাহাদাতের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে র্যাব আরো জানান, গত ২/৩ মাস আগে ওই কিশোরীর পারিবারিক দারিদ্রতার সুযোগে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমন নামের এক যুবক মোবাইল ফোনে কথোপকথন চলতে থাকে। সুমন ও শাহাদাত দু’জন বন্ধু। ওই কিশোরী সুমন বা শাহাদাতকে কখনও দেখেনি। এরই মধ্যে শাহাদাত ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার পরিকল্পনা করে। ঘটনার ধারাবাহিকতায় গত ২৪ জানুয়ারী দুপুরে শাহাদাত নিজে সুমন সেজে কিশোরীকে দেখা করার কথা বলে। পরে ওই কিশোরী দেখা করার জন্য পাশের উপজেলা সোনারগাঁ উপজেলার পেরাব এলাকায় গিয়ে সুমন পরিচয়ে শাহাদাত কিশোরীর সঙ্গে দেখা করে। এক পর্যায়ে ওই কিশোরীকে তাজমহল পিরামিড (রাজমনি পিরামিড) এর হোটেলে নিয়ে রাখা হয়।
এরপর উত্তেজক ও নেশা জাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করে রক্তাক্ত জখম করে। শুধু তাই নয়, ধর্ষক শাহাদাত সুকৌশলে কয়েক জনের সহযোগিতায় ধর্ষণের কিছু অংশ ভিডিও ধারণ করে কিশোরীকে জিম্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেয় যে, সম্পূর্ণ ঘটনা গোপন রাখবে।
এদিকে ধর্ষিত কিশোরীর মা গত ৩ ফেব্রুয়ারী বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় সুমনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ধর্ষণে ঘটনাটি হাতে নিয়ে উদঘাটন করেন র্যাব-১ এর সিপিসি-৩ এর সদস্যরা। ঘটনার সহযোগীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানায় র্যাব।
উল্লেখ, সুমন ও শাহাদাতসহ একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে গার্মেন্ট কর্মী, স্কুল ছাত্রী, গৃহবধূকে ফাঁদে ফেলে নির্যাতন করার অভিযোগ রয়েছে।