নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম সামু’র সাথে ইউপি মেম্বারগণের মধ্যকার চলমান সমস্ত দ্বন্দ্বের পরিসমাপ্তি ঘটেছে। এতে ইউপি পরিষদে এখন আনন্দের হাওয়া। এই সমঝোতার মাধ্যমে সকল নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ খেলারও ইতি ঘটলো।

জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউপি পরিষদে চেয়ারম্যান ও ৮ মেম্বারের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চলছিল বেতন, কাবিখা ও অন্যান্য সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে সাধারণ জনগণ পরে দুর্ভোগের মাঝে। তারা ঠিকমতো ইউপির সেবা পাচ্ছিল না। ইতোপূর্বে দুই পক্ষই নিজেদের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে। অবশেষে তারা গত বুধবার সবাই একতাবদ্ধ হন।

এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ইউপি পরিষদে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চেয়ারম্যান, সচিব, সকল মেম্বারগণ ও ইউপির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সভায় সিদ্ধান্ত হয় এখন থেকে সবাই এক থাকবেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, আমাদের মধ্যে সামান্য একটি ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। আশা করি সামনে থেকে আমাদের মাঝে আর কোনো সমস্যা হবে না। তবে সাবেক চেয়ারম্যান চুন্নুর দাবি করা স্ট্যাম্পে সই করে চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা নাকি একতাবদ্ধ হন, এ ব্যাপারে তিনি বলেন- আমরা স্ট্যাম্পে সই করে এক হয়নি। এটা তিনি ভুল দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সামসুল আলম সামসু বলেন, এক ঘরে থাকতে হলে বউ ও স্বামীর মাঝে অনেক দ্বন্দ্ব হয়, আবার তারা মিলেও যায়। আমাদের মাঝে সামান্য একটা দ্বন্দ্ব হয়েছিল। আশা করি এখন থেকে আমাদের মাঝে আর কোনো সমস্যা হবে না ইনশা-আল্লাহ। এই ইউনিয়নের সব মেম্বাররাই ভালো ও সহজ সরল। একটি ৩য় পক্ষের কারণে আমাদের মাঝে সামান্য ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। পাশাপাশি তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেন, যাতে ৪ বছর সবাই মিলেমিশে থাকতে পারি।

তিনি আরও বলেন, এ ইউনিয়নে সব থেকে বড় একটি সেতু করে দিয়েছেন আমাদের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা। এজন্য তিনি ও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এমপি সাহেবকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ জানান। এ উপজেলায় রেজাউল সাব তিনবার মন্ত্রী ও কায়সার সাব একবার এমপি ছিল, তারপরও তারা এ সেতুটি করতে পারেনি।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, এ ইউনিয়নে আরো একটি সেতুর অভাবে দীর্ঘদিন ধরে নোয়াগাঁও গ্রামে হাজারো মানুষ ভোগান্তিতে আছে। আমি এমপি সাহেবের কাছে এ সেতুটি করার জোড় দাবি জানাচ্ছি।