নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
ঢাকা থেকে দুবাইগামী বাংলাদেশ বিমানের ‘ময়ূরপঙ্খী’ উড়োজাহাজ ছিনতাইকারী কথিত মাহাদীর পরিচয় মিলেছে। তার আসল নাম মাহমুদ পলাশ। বয়স (২৩)। সে গত শুক্রবার দুবাই যাবে বলে বাসা থেকে বের হয়। গতকাল রাতে ফেইসবুকে ছবি দেখে পলাশের পরিচয় নিশ্চিত করে তার পরিবার।
এর আগে তার বাবা বলেন, পলাশের বাবা জানান, ২০১১ সালের দিকে স্থানীয় তাহেরপুর আলিম মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে সে। এরপর সোনারগাঁও ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে বিদেশে থাকতেন। প্রথমে কুয়েত এবং পরে সৌদি আরবে ছিলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, প্রবাসে থাকার সময় তার পাঠানো টাকা-পয়সা নিয়ে উছৃঙ্খল জীবন যাপন করতেন পলাশ। এর মধ্যে নাচগান থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র শিল্পে জড়ান তিনি। কয়েকটি শর্টফিল্মও তৈরি করেন বলেও জানান তিনি। একটা সময় বাসা ছেড়ে ঢাকায় চলে আসেন পলাশ। বাড়িতে তেমন যেতেন না। মাঝে মধ্যে টাকার প্রয়োজন হলে বাড়ি যেতেন। বছর খানেক আগে সে চিত্র নায়িকা সিমলাকে বিয়ে করেন। দুইবার সিমলাকে নিয়ে সোনারগাঁওয়ে আমার বাসায় এসেছিল পলাশ। আমি এ বিয়ে মেনে নিতে পারিনি। সে এর আগে ২০১৪ সালে বগুড়ায় একটি বিয়ে করে। ওই স্ত্রীর নাম মেঘলা। সেখানে আয়ান নামে আড়াই বছরের একটি ছেলে আছে তার। তবে সিমলার সাথে বিয়ে হওয়ার পর ২০১৭ সালে প্রথম স্ত্রী তাকে তালাক দেয়।
তিনি জানান, গত সাত বছর আগে বিদেশ থেকে স্থায়ীভাবে দেশে চলে আসেন তিনি। এলাকায় একটি মুদি দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। পলাশরা চার ভাইবোন। বড় বোন পলি, ছোট বোন জিন্নাত ও জান্নাত । স্ত্রী রেনু আক্তার গৃহিণী।
পলাশের বাবা আরোও বলেন, গত ২০-২৫ দিন আগে বাড়িতে আসে পলাশ। সাধারণত বাড়িতে সে এত দিন থাকতো না। গত ২০-২৫ দিনে অনেকটা পাল্টে যায় সে। মসজিদে যাওয়া-আসা করতো, এমনকি আজানও দিয়েছে। সর্বশেষ গত শুক্রবার বাসা থেকে বিদায় নেওয়ার সময় তার মাকে বলে যায়- ভ্রমণ ভিসায় সে দুবাই যাবে।
তবে দুবাই যাওয়ার বিষয়ে আমাকে কিছু বলেননি পলাশ। তবে, ছেলের উছৃঙ্খল জীবন নিয়ে তিনি এতটাই অতিষ্ঠ ছিলেন যে, তিনি চেয়েছেন হয় ছেলে ভালো হোক, না হয় মারা যাক। অবশেষে বাবার ক্ষোভে বলা সেই ইচ্ছাই পূরন হলো।