নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আদর্শ জাতি ও সুন্দর সমাজ গঠনে আলেম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চরমোনাই এর পীর ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মুফতি সৈয়দ মোঃ রেজাউল করীম এ কথা বলেন। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে আসন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আলোচনা সভা ও ওলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের ঐতিহ্যবাহী কারীমিয়া মুজাহিদিয়া চেঙ্গাকান্দি মাদ্রাসায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আদর্শ জাতি ও সুন্দর সমাজ গঠনে আলেম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক আলোচনা সভায় সঞ্চালনা করেন, ঐতিহ্যবাহী কারীমিয়া মুজাহিদিয়া চেঙ্গাকান্দি মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি ও মাওলানা কাওছার বাঙ্গালী। সভাপতিত্ব করেন মাওলানা ফজলুর রহমান কাশেমী। অনুষ্ঠানে বিশেষ আলোক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আল্লমা আজিজুল হক, আল্লামা ওবায়দুল কাদের নদভী, মাওলানা মহিউদ্দিন খাঁন, মুফতি মোঃ মাসুম বিল্লাহ, মাওলানা মুজিবুর রহমান, মাওলানা সানাউল্লাহ নূরী, মাওলানা হারুন আর রসিদ, মাওলানা নেছার উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা ও ক্বারি শফিউদ্দিন কুরআন তেলাওয়াত করেন, মাওলানা আব্দুর রহমান বেহতাগী, মুফতি ও মাওলানা সওকত ওসমান, মাওলানা মাহবুবুল আলম, মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ, মাওলানা হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতি ও মাওলানা সাহআলম সিদ্দিকী ও ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর মনোনীত পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মাসুম রানা।
এ সময় “আদর্শ জাতি ও সুন্দর সমাজ গঠনে আলেম সমাজের ভূমিকা শীর্ষক” আলোচনা সভায় আলেম ওলামা নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন- একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করে মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠা করা প্রত্যেকের ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব। মানব জাতির সমাজ ও রাষ্ট্রসহ সমগ্র জীবন গঠন ও পরিচালনা করার জন্য সার্বভৌম ক্ষমতার একমাত্র মালিক সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ প্রদত্ত প্রয়োজনীয় সকল আইন-বিধান সম্বলিত চির আধুনিক কল্যাণকর ও পরিপূর্ণ একমাত্র জীবন ব্যবস্থাই ইসলাম। দেশ ও জাতির মানুষ মানুষের সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্বের অধীনে থেকে মানুষের দাসত্ব, মানুষের আইনের আনুগত্য এবং মানুষের আইনের ভিত্তিতে নের্তৃত্বদানকারী নেতাদের আনুগত্য স্বীকার করে ইসলামের বাহিরে তথা জাহিলিয়্যাতে- শিরক ও কুফরীতে অবস্থান করছে, যার পরিণতিতে তাদের দুনিয়ার জীবনে চরম দুর্ভোগ ও অশান্তি বিরাজ করছে এবং আখিরাতের জীবন ধ্বংস হচ্ছে। আল্লাহর নির্দেশিত এবং তাঁরই রাসূল হজরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ন পদ্ধতিতে নিজের সময় ও অর্থ কুরবানি করে মানুষের মিথ্যা সার্বভৌমত্ব, আইন-বিধান ও কর্তৃত্ব ত্যাগ এবং অস্বীকার ও অমান্য করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে সার্বভৌমত্ব,আইন-বিধান ও নিরংকুশ কর্তৃত্ব একমাত্র আল্লাহর গ্রহন করে “রাব্বুনাল্লাহু বা আল্লাহু আকবার” ঘোষণা করতে হবে। মানুষের দাসত্ব, মানুষের মনগড়া আইনের আনুগত্য ও গাইরুল্লাহর উপাসনা ত্যাগ ও অস্বীকার করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে দাসত্ব, আইনের আনুগত্য ও উপাসনা একমাত্র আল্লাহর গ্রহন করে সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার করতে হবে। আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু। মানুষের আইনের ভিত্তিতে নেতৃত্বদানকারী নেতাদের আনুগত্য ত্যাগ ও অস্বীকার করে সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সকল ক্ষেত্রে শর্তহীন আনুগত্য- অনুসরণ ও অনুকরণ একমাত্র হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এ গ্রহন করে সাক্ষ্য ও অঙ্গীকার করতে হবে। আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলূল্লাহু। আল্লাহরই সার্বভৌত্বের ভিত্তিতে তাঁরই আইন-বিধানের প্রতিনিধিত্বকারী আমীরের আনুগত্যে থেকে আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রদর্শিত শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে নিজের সময় ও অর্থ কুরবানীর মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার আন্তরীক প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আলকুরআন ও সুন্নাহর দিক-নির্দেশনা মোতাবেক ছালাত ও অন্যান্য আমল সমুহ নিজের জীবনে কার্যকরী করার মাধ্যমে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক গভীর ও বৃদ্ধি করতে হবে। এভাবেই আল্লাহর মনোনিত আমীরের নেতৃত্বে একদল ঈমানদার সৎকর্মশীল লোক গঠন হলেই সমাজ ও রাষ্ট্রে পূনরায় ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হবে। সমাজ ও রাষ্ট্রে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকাকালীন সময়ে এটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর নির্দেশিত এবং রাসূল (সাঃ) এর প্রদর্শিত একমাত্র পদ্ধতি।