নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা পরিস্থিতিতে সোনারগাঁয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েন হাজারো দিনমজুর। খাবার সংকট দেখা দেয় তাদের মধ্যে। দুর্যোগময় মুহূর্তে অসহায় কর্মহীন সেসব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। জনসমাগম ঠেকাতে রাতের আঁধারে মানুষের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যারা অভাবে থাকলেও মুখ ফুটে চাইতে পারেন না লজ্জায়। নিম্ন মধ্যবিত্ত এ মানুষদের বাড়িতেও খাবার পৌঁছানো হয়েছে। দায়িত্ব নিয়েছেন অভাবে নিজের সন্তান বিক্রি করে দেয়া মায়েরও।
করোনার প্রথম থেকেই ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের ঘোষণা ছিল, একটি মানুষ যেন উপোস না থাকে। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ যেন পথে ঘাটে না মরে। এই রকম অর্ধশত উদ্যোগ নিয়ে এখন অবদি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে ওসমান পরিবারের সহস্রাধিক কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী। আর এসব সেবায় স্বেচ্ছাসেবীদের মাসুমের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেই বার্তা, তা হলো- সেবা পৌঁছাতে কে আওয়ামী লীগ কে বিএনপি করে তা যেন প্রাধান্য নয়।
করোনা মহামারি শুরুর প্রাক্কালে মাসুমের উদ্যোগে স্যানিটাইজার, মাস্কসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করেছেন। মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকায় তার নির্দেশে ও ব্যক্তিগত অর্থায়নে জীবাণুনাশক পানি ঢালা হয়।
এদিকে সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করার পর কর্মহীনদের খাদ্যের অভাব অতিমাত্রায় শুরু হলে ব্যক্তিগত পর্যায়ে কর্মহীন ও বিশেষ করে মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশে এগিয়ে আসেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম। গত একমাসে মাসে সোনারগাঁ উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ২০ হাজার পরিবারের মাঝে ব্যক্তিগত অর্থায়নে খাদ্যসামগ্রী উপহার পাঠানো হয়। কে না খেয়ে আছে এ খবর নিতে তার উদ্যোগে একটি ১০ সদেস্যের টিম ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত রয়েছে। মাসুমের নিজস্ব ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে প্রতিদিন অসংখ্য মেসেজ পেয়ে রাতের আঁধারে মধ্যবিত্তের ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাদ্যসামগ্রী। এছাড়া সমাজের প্রত্যেকটি মসজিদ-মাদ্রসার আলেম সমাজের পাশে দাড়িয়ে তাদের সকল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন। সমাজের অবহেলিত হিজড়া বেদে সম্প্রদায়কে নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। পিরোজপুর ইউয়িনের প্রতিবন্ধিদের অর্থিক সাহায্যসহ সকর দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছেন।
ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার ৬ হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। উপজেলার গনমাধ্যম কর্মীদের জন্য পিপিইসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছেন। সোনারগাঁ থানা পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তাদেরকেও প্রদান করা হয়েছে পিপিই ও সুরক্ষা সামগ্রী।
অপরদিকে সোনারগাঁয়ে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রথম থেকে কোমর বেঁধে মাঠে নামেন ইঞ্জিনিয়ার মাসুম। মেঘনা নগরীকে সুরক্ষা রাখতে প্রতিটি মানুষকে হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও মাস্কসহ অন্যান্য সুরক্ষা সামগ্রী নিজে প্রতিদিন হেঁটে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণ করেছেন এবং ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন। মেঘনা অঞ্চলের শ্রমিকরা যাতে কাজ শেষে রাস্তায় ও দোকানে ভীড় করতে না পারে সেজন্য তিনি সকাল বিকাল শ্রমিকদের আসা যাওয়া মনিটরিং করেছেন। মেঘনা বাসীকে করোনা মুক্ত রাখতে বিভিন্ন কোম্পানীর ট্রাক চালকদের কোম্পানীর বাহিরে ঘুরাফেলা উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। সরকারী নির্দেশনা মানতে মসজিদগুলোতেও অল্প সংখ্যক মুসল্লির যাতায়াত নিশ্চিত করেছেন।
লক ডাউনের কারণে বেকার হয়ে পড়া স্থাণীয় মানুষের পাশাপাশি তিনি পিরোজপুর ইউনিয়নের ভাড়াটিয়াদের খাবার নিশ্চিত করতে প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তালিকা করিয়েছেন এবং তার নিজস্ব কর্মী দিয়ে ভাড়াটিয়াদের বাড়িতে খাবার পৌছে দিয়েছেন।
এদিকে ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের এই জন সম্পৃক্ততা বেশ সাড়া ফেলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সবার মুখে মুখে ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের নাম। দলমত নির্বিশেষে ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের এই পাশে দাঁড়ানোর কথা স্বীকার করছেন সকলেই। এ ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের যে ভূমিকা রেখেছে তা নিয়ে অনেকে তাকে বিভিন্ন উপাধিতে ভুষিত করেছেন। লিখেছেন প্রশংসনীয় ও দৃষ্টান্তমুলক। সবাই ব্যক্তিগত পর্যায়ে উনাদের মত এগিয়ে আসলে এই যুদ্ধে জয়ী হওয়া কষ্টসাধ্য হবে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া জানান, ইঞ্জিনিয়ার মাসুম সর্বদাই জনসাধারণের পাশে ছিলেন বলেই আওয়ামী রাজনীতিতে তার অবস্থান ধরে রেখেছেন। করোনার এই চরম পরিস্থিতিতে ইঞ্জিনিয়ার মাসুমের যে অবদান রেখেছে এবং রাখছে তা পুরো দেশের মধ্যে একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।