নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চলে জমে উঠেছে তিনদিন ব্যাপী বৈশাখী মেলা। গতকাল শনিবার থেকে এ মেলা শুরু হয় চলবে আগামীকাল সোমবার পর্যন্ত। মেঘনা শিল্পাঞ্চল স্কুল এন্ড কলেজ গভানিং বডি এ মেলার আয়োজন করেন।
জানাগেছে, বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতির অন্যতম উপাদান হলো বৈশাখী মেলা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানা উপলক্ষে মেলার আয়োজন হয়ে থাকে বহুকাল থেকে। মিলন শব্দ থেকে এসেছে মেলা। গ্রামীণ সমাজ জীবনের পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে মেলার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল একসময়। মেলাকে কেন্দ্র করে এক উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষ আসে মেলায়। সামাজিক সম্প্রীতি সৃষ্টির ক্ষেত্রে এই পারস্পরিক যোগাযোগ ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া মেলার অর্থনৈতিক গুরুত্ব¡ তো রয়েছেই।
মেঘনা শিল্পাঞ্চল মেলায় রয়েছে স্থানীয় কারুশিল্পীদের উৎপাদিত পণ্যের বাঁশ, বেত, পাট, শোলা, ধাতব, মৃৎ, চামড়া, তন্তুজাত হরেক রকমের কারুপণ্য ও বাচ্চাদের খেলনার বিপুল সমাহার। এর পাশাপাশি রয়েছে খাজা, গজা, মওয়া এসব খাদ্যসামগ্রী। রয়েছে নাগরদোলা, শিশুদের জন্য রয়েছে হরেক রকম রাইডস।
মেঘনা শিল্পনগরী স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি ইঞ্চিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম জানান, বাংলা নববর্ষ চিরায়ত বাংলার ঐতিহ্যে লালিত এক অনন্য দিন। অতীতের সব গ্লানি ও বিভেদ ভুলে বাংলা নববর্ষ জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য আরও সুদৃঢ় করবে এবং বয়ে আনবে অফুরন্ত আনন্দের বারতা। দেশজুড়ে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখি মেলা উদযাপন দেশীয় সংস্কৃতির প্রসারেও অনবদ্য ভূমিকা রাখে। আমাদের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষি, ব্যবসাসহ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে বাংলা সনের ব্যবহার ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষের আবেদন তাই চিরন্তন ও সর্বজনীন। বৈশাখী মেলার মাধ্যমে আমরা বাংলার প্রাচীন মেলা বৈশাখকে বর্তমান শিশুদের মাঝে তুলে ধরে বাংলার নববর্ষ ও গ্রামীন বাংলার ঐতিহ্যবাহী বৈশাখী মেলা ও তার সাথে জড়িত অতীত সাংস্কৃতিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। যাতে বর্তমান শিশুরা এ বাংলার ঐতিহ্যকে বুকে ধারন করে খাঁটি বাঙ্গালী হিসেবে বিশ্বের বুকে বেঁচে থাকতে পারে।