নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। রোববার সকালে এ ঘটনাটি ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় আহতের মা বাদী হয়ে গতকাল রোববার সকালে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের গঙ্গানগর গ্রামের আক্তার হোসেনের পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত আছমত আলীর ছেলে সন্ত্রাসী হেলুর দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে রোববার সকাল ৬টায় আসমত আলীর স্ত্রী রহিমা বেগমের নির্মানাধীন বাড়ির সামনে থেকে সন্ত্রাসী হেলু বাড়ি নির্মানের জন্য আনা রড নিয়ে যেতে চাইলে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হেলু ও তার ছেলে বাবুল, শাহিন ও শারবিনসহ ৭/৮ জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় রামদা, ছোড়া, লোহার রড, ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প ও লাঠি নিয়ে হামলা চালিয়ে আসমা আক্তারের বৃদ্ধ স্বামী আক্তার হোসেনসহ তার দুই ছেলে আল আমিন ও মাসুদকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এসময় আহতদের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা রহিমা বেগমের কানে থাকা ৭,৫০০/- টাকা মূল্যের স্বর্ণের দুল ও ৪০,০০০/- টাকা মূল্যের গলার চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশেরও হুমকী প্রদান করে। পরে পরিবারের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে আহত বৃদ্ধ আক্তার হোসেন ও তার ছেলে আল আমিন জানান, আমাদের নির্মানাধীন বাড়ির সামনে থেকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সন্ত্রাসী হেলু বাড়ির নির্মানের রড নিয়ে যেতে চাইলে ও বাঁধা দিলে তার পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা।
এব্যাপারে স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মৃত আছমত আলীর ছেলে হেলু ও তার ছেলেরা এলাকায় বিভিন্নধরনের মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সাথে জড়িত। তাদের জন্য এলাকায় বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমে এলাকার সকলেই ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় থাকে। কেউ কোন কথা বলার সাহস পায় না।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, এঘটনায় একটি অভিযোগ গ্রহন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।