নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে নয়াগাঁও ও চন্দ্রেরচক গ্রামে ঘুড়ি খেলাকে কেন্দ্র প্রতিপক্ষের হামলায় ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এসময় হামলাকারীরা খেলার জন্য বানানো স্টেজ, মাইক ও চেয়ার ভেঙ্গে ফেলে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার বিকেলে সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চান্দের চক গ্রামে ঘুড়ি খেলার আয়োজন করে গ্রামের যুবকরা। বিকালে গ্রামবাসী দু’পক্ষ বাদ্যবাজনাসহ উৎসব মুখর পরিবেশে খেলা শুরু করে। খেলার একপর্যায়ে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে চান্দের চক গ্রামের যুবক ও নয়াগাঁও গ্রামের যুবকদের মধ্যে তর্কবিতর্ক ও হাতাহাতি শুরু হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ঠিকাদার আলাউদ্দিনের ছেলে ইয়ানবীর ও শহিদুল্লাহর ছেলে শাহজাহানের নেতৃত্ব ৩০/৪০ জনের একটি দল লাঠিসোঠা, টেটা বল্লম, দা-ছুড়িসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চান্দের চক গ্রামে হামলা চালায়। ধনু মিয়া, আয়নাল, রূপালী, ফারুক, ঝর্না, নিলুফা, মুজিবুর, শাহালমসহ গ্রামের প্রায় ১০জনকে পিটিয়ে আহত করে।আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে, হামলার চন্দ্রেরচক গ্রামের যুবকরা লাঠিসোটা নিয়ে এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইয়ানবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহূত মোবাইল ফোনে কল করলে একবার রিং হওয়ার পর সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মনির জানান, দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। সংঘর্ষের ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি।