নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের অত্যন্ত অবহেলিত ও চারদিক নদী বেষ্টিত বিশাল জনপদের নাম নুনেরটেক। এ এলাকায় শিক্ষার প্রথম হাতে খড়ি হয় মসজিদের মক্তবে। নুনেরটেকের প্রথম মসজিদ নির্মাণ করেন এখানকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক মরহুম কেরামত আলী প্রধান। এ মসজিদেই প্রথম মক্তবের পাশাপাশি বাংলা অ আ শিক্ষা শুরু করেন তৎকালীন শিক্ষিত যুবক আলমাছ আলী মাষ্টার, শামসুল হক (কাঙ্গাল) আমির আলী মাষ্টারসহ আরো অনেকে। মরহুম কেরামত আলী প্রধানের মেঝো ছেলে সদর আলী প্রধান ১৯৬৫সালে নুনেরটেকে প্রতিষ্ঠা করেন নুনেরটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। তার নিজস্ব ৩৩ শতাংশ জায়গার উপর শুরু হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা। স্বাধীনতার পর নুনেরটেক এলাকার প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত ব্যক্তি সদর আলী প্রধান। নুনেরটেক এলাকার জনগন প্রত্যক্ষ ভোটে তাকে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নির্বাচিত করেন। তার হাত ধরেই নুনেরটেকে শিক্ষার প্রসার শুরু হয়। এ বিদ্যালয়েই লেখা পড়া করেন নুনেরটেকের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। যারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে বিশ^ ব্যাপি বাংলাদেশের সুনাম তুলে ধরছেন। কেউ সাংবাদিক, কেউ শিক্ষক, কেউ ডাক্তার, কেউ ইঞ্জিনিয়ার, কেউ ব্যাংকার, কেউ ব্যবসায়ি হয়ে নুনেরটেকের প্রতিনিধিত্ব করছেন। টিনের ঘর থেকে শুরু করে আজ বিশাল দোতলা বিল্ডিং। সেখানে প্রায় চারশ ছেলে-মেয়ে লেখা পড়ার সুযোগ পায়। নুনেরটেক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষা গ্রহণ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের পর দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়ছে এলাকার কৃর্তি শিক্ষার্থীরা। নুনেরটেকে উচ্চ শিক্ষার প্রয়াজনীয়তা মনে করে গড়ে তোলা হয় ১৯৯৩ সালে নুনেরটেক উচ্চ বিদ্যালয়। এ প্রতিষ্ঠানটিও আজ ব্যাপক ভাবে সারা পড়েছে নুনেরটেক এলাকাবাসীর মধ্যে। দিন দিন উচ্চ শিক্ষার প্রতি এ এলাকার মানুষের আগ্রহ বাড়তে শুরু করেছে। সদর আলী প্রধানের যোগ্য উত্তরসুরি ও তার মেঝো ছেলে মোঃ জাকারিয়া প্রধান এলাকায় সমাজ সেবার পাশাপাশি নুনেরটেক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়ে শিক্ষার উন্নতিতে ভুমিকা রাখছেন। তিনি নুনেরটেক উচ্চ দিব্যালয়ের সম্মানিত সদস্য হয়েও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তার সাহসী নেতৃত্বে নুনেরটেক এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের কাজও চলছে। রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসা, ঈদগা-কবরস্থান। সমাজে অন্যায় অবিচার, কুসংস্কার, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ। তার সু-পরামর্শে উচ্চবিদ্যালয়টিও দিন দিন উন্নতি লাভ করছে। নুনেরটেক উচ্চ বিদ্যালয়টি পর্যায়ক্রমে কলেজে পরিনত করার কাজও এগিয়ে চলছে। তাদের মতো তরুনরা সমাজের নেতৃত্বে আসার কারণে এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। এলাকায় বিদ্যুৎ,ও সেতু হয়ে গেলে আরো বেশি উন্নয়ন হবে আশা করা যায়।