নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা ঘেঁষে আড়াইহাজার উপজেলা এলাকার মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে সোনারগাঁ উপজেলার নুনেরটেকের কয়েকটি গ্রাম। দিনে রাতে প্রায় ২০টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যে বিলিন হয়ে গেছে নুনেরটেকের কয়েকশত একক ফসলি ও গ্রামের কিছু অংশ। এদিকে আড়াইহাজার উপজেলা এলাকার মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙ্গছে সোনারগাঁয়ের ভুমি। কিন্তু বালু উত্তোলনের স্থানটি অন্য উপজেলায় হওয়ায় বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারছেনা সোনারগাঁয়ের প্রশাসন। এছাড়া নদী ভাঙ্গন থেকে গ্রাম রক্ষায় কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মেঘনা নদীর মাঝখানে জেগে ওঠা চর নুনেরটেক ও এর তীরবর্তী বালুমহালটি ইজারা দেওয়ার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে ওই এলাকার বালুমহাল ইজারা দিতে পারবে না প্রশাসন। এদিকে সোনারগাঁ উপজেলার পাশ্ববর্তি উপজেলা আড়াইহাজার। আড়াইহাজার উপজেলার কালাপাহাড়িয়া এলাকার স্বপন চেয়ারম্যান মেঘনা উপজেলার নলচর এলাকায় চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ মিয়ার নেতৃত্বে ইউপি সদস্য আবদুর রহমান এবং আবুল হাসেমের লোকজন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ গ্রামবাসীর। তারা দিনের বেলা আড়াইহাজার এলাকায় বালু উত্তোলন করে কিন্তু রাত যখনই গভীর হতে থাকে তারা ড্রেজার নিয়ে নুনেরটেকের গ্রাম ঘেষে বালু উত্তোলন শুরু করে। বালু উত্তোলনের ফলে নুনেরটেকের লঘুনারচর, সবুজবাগ, গুচ্ছগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, টেকপাড়া, নুনেরটেক ডিয়ারা, কমলাপুর, ডেঙ্গুলকান্দি গ্রামের কয়েকশত বিঘা জমি ইতিমধ্যে নদীগর্ভে বিলিন হয়ে এখন গ্রামে মুল অংশের বাড়ীঘর নদীতে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। তারা আরো জানান, নদী ভাঙ্গনের ফলে অনেক পরিবার ভিটেমাটি হারিয়ে অন্য জায়গায় বাসাভাড়া নিয়ে বসবাস করছে। বালু উত্তোলনকারীরা শক্তিশালী হওয়ায় তাদের বাধা দিয়ে গেলে হামলা ও হামলার শিকার হতে হয় তাদের। এজন্য বাধ্য হয়ে ভিটেমাটি হারিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছে। অপরদিকে, বালু সন্ত্রাসীরা প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
সরেজমিনে নুনেরটেক এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, দিনে বেলা নুনেরটেকে অপর দিকে মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে প্রায় ২০টির মত ড্রেজার। মেঘনার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ভাল্কহেডে ভরছে। বালু উত্তোলনে সময় ট্রলার ও স্পীটবোড নিয়ে পাহারায় আছেন আড়াইহাজার উপজেলার চেয়ারম্যানে পালিত সন্ত্রাসীরা। তারা বিভিন্ন বাল্কহেডে বালু ভরাট করার পর বিভিন্ন হারে টাকা আদায় করছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আল মামুন জানান, বিষয়টি যেহেতু দুই উপজেলার মধ্যে সেজন্য জেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন।