নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নে ফারজানা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ ১১ জুন মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ফারজানার শশুরবাড়ী মির্সরীপাড়া এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করে। এদিকে, ফারজানা মৃত্যুর খবর শুনে তার পরিবারের লোকজন ফারজানার শশুর বাড়িতে গেলে তার শশুরবাড়ীর লোকজন তার স্বজদের মারধর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মির্সরীপাড়া গ্রামের সত্তর মিয়ার ছেলে সুজনের সাথে মেঘনা থানার চালিভাঙ্গা গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে ফারজানার ৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ফারজানার বাবা-মা তার স্বামী ও শশুরকে ২লাখ টাকা নগদ ও ২ ভরিস্বর্ন প্রদান করে। দাম্পত্য জীবনে তাদের ফারহান নামের আড়াই বছরের একটি ছেলে রয়েছে। গত ১ বছর আগে ফারজানার বাবা তার বাড়ী বিক্রি করে তার স্বামী সুজনকে দুবাই পাঠায়। সেখানে যাওয়ার ২মাস পর সুজন ফারজানার সাথে কথাবার্তা বন্ধ করে দেয়। গতকাল রাতে ফারজানা প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে তার শাশুরীর সাথে শুয়ে পড়ে। আজ সকালে ফারজানার শশুরবাড়ীর লোকজন তার বাবা-মাকে ফোন করে জানায় ফারজানা তার ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে তার বাড়ীর লোকজন ফারজানার বাড়ীতে গেলে তার শাশুরবাড়ীর লোকজন পালিয়ে যায়।
এদিকে, খবর পেয়ে ফারজানার স্বজনরা তার পলাতক শাশুরীকে একটি বাড়ী থেকে পুলিশে ধরিয়ে দিতে গেলে বারদী ইউনিয়নের মেম্বার দাইয়ান সরকারের নির্দেশে ওই বাড়ীর লোকজন অপহরনকারী আখ্যা দিয়ে ফারজানার স্বজনদের মারধর করে। এতে ফারজানার ভাই আল-আমিন, তার ভাবী ঋতু, বোন আকলিম, শহীদ ও মাইনুল আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ফারজানার মা বানু বেগম জানান, তার মেয়ের জামাই সুজন দুবাই চলে যাওয়ার পর ফারজানার শশুরবাড়ীর লোকজন তার উপর অত্যাচার শুরু করে। তারা তার মেয়েকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করছে।আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
ফারজানার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোক্তার হোসেন জানান, ফারজানার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ফারজানার শশুরবাড়ীর উঠান থেকে ফারজানার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। ময়না তদন্ত রির্পোট হাতে এলে বলা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা।