নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: প্রকৌশলী ও ঠিকাদারের গাফিলতি, দূর্নীতির কারণে পুকুরের জলে গেল সরকারের ২৬ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে সড়ক নিমার্ণের দুই বছর না পেরুতেই সিসিকরণ সড়কের বিভিন্ন স্থান ধ্বসে পড়ে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। ফলে চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী লোকজন। সড়কটি ২ বছরের মধ্যে ভেঙ্গে পুকুরে পড়ে যাওয়ার দায় নিচ্ছে না কেউ।
উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন কার্যালয়ের সামনে থেকে সাতভাইয়া পাড়া বটতলা সড়কের এ বেহাল দশার সৃষ্টি হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই পথচারীরা ছোট বড় দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বলে স্থানীয়রা দাবী করেন।
সম্প্রতি এ সড়কের দরপত্র সম্পন্ন করা হয়েছে বলে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের পুরাতন কার্যালয়ের সামনে থেকে সাতভাইয়া পাড়া বটতলা সড়কে চান্দেরকীর্তি, সাতভাইয়া পাড়াসহ প্রায় পাচঁ গ্রামের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার কয়েক হাজার লোকজন যাতায়াত করে। বৈদ্যেরবাজার মাছ ঘাটের যাতায়াতের জন্যও এ সড়কটি বাইপাস সড়ক হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ থেকে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে জামিল এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সড়কের সিসিকরণ নির্মাণের কাজ করেন। সড়ক নিমার্ণের দুই বছর না পেরুতেই সিসিকরণ সড়কের বিভিন্ন স্থান ধ্বসে পড়ে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
সরেজমিন সাতভাইয়া পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সড়কটির বৃহৎ অংশ পার্শ্ববর্তী পুকুরে ধ্বসে গেছে। বাঁশের বেড়া (প্যানা সানি) দিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করা হলেও সড়কের শেষ রক্ষা হয়নি।
কথা হয় সাতভাইয়া পাড়া এলাকার বেশ কয়েক জনের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জানান, নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়কটি নির্মাণ করায় সড়কের এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
সাতভাইয়া পাড়া এলাকার হামিদুল ইসলাম জানান, নির্মাণের এক বছর না যেতেই সড়কের বিভিন্ন স্থান ধ্বসে যানবাহন চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে।
এব্যাপারে জামিল এন্টার প্রাইজ ঠিকারদার প্রতিষ্ঠানের তত্ত্ববধায়ক কামরুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী ওয়ালি উল্যাহ জানান, জামিল এন্টার প্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ২৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়কটি নির্মাণ করেছিলেন। নির্মাণের দুই বছরে সিসিকরণ সড়ক ভেঙ্গে পরার বিষয়ে তিনি বলেন আরসিসি ঢালাই করলে এমনটি হতো না।
সোনারগাঁ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরজুরুল হক বলেন, সড়কটি অধিক ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় এলজিইডি থেকে দরপত্র সম্পন্ন করা হয়েছে। আশা করছি দ্রæতই এ সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আল আমিন সরকার জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক গুলো সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।