নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নিজেকে শারীরিক ভাবে অÿম ও যৌন সঙ্গমে ব্যর্থ হবেন ভেবে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে নাটক সাজানোর চেষ্টা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন নিজের পুরুষাঙ্গ কাটা মাদ্রাসা ছাত্র মো. ইমরান হোসেন ওরফে ইব্রাহিম। গতকাল শনিবার রাতে সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে পুরুষাঙ্গ কিভাবে বা কারা কাটল তা জানতে গেলে ইব্রাহিম নিজেই তার পুরুষাঙ্গ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে।
সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার রাতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার ফুটওভারের নিচে আহত অবস্থায় পুরুষাঙ্গ কাটা এক মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করে। পরে গতকাল শনিবার বিকেলে সোনারগাঁ থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইব্রাহিমের কাছে গেলে প্রথমে তালবাহনা করলেও পরে সে বিষয়টি পুলিশকে খুলে বলেন। সে পুলিশকে জানায়, মাদ্রাসায় অধ্যায়রত অবস্থায় সে অতিরিক্ত হস্তমৈথন করতো। এতে তার পুরুষাঙ্গটি ধীরে ধীরে নিস্ততেজ হয়ে যায়। যা কখনো ইচ্চা করলে উত্থিত হতো না । এতে সে ভয় পেয়ে যায়। সে ভাবে অতিরিক্ত হস্তমৈথন করার ফলে তার লিঙ্গটি নষ্ট হয়ে গেছে। এতে সে ভবিষ্যতে সে বিয়ে করলেও কোন ছেলে সন্তান জম্ম দিতে পারবে না। সেজন্য হয়তো তার স্ত্রী ও পরিবারের কাছে লজ্জা পেতে হবে সেই ভয়ে সে নিজে নিজে একটি পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক শুক্রবার রাতে নামায শেষে মসজিদের টয়লেটে গিয়ে ব্লাড দিয়ে তার লিঙ্গটি কেটে ফেলে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষনন ও ব্যাথা যন্ত্রনায় একটি সিএনজি যোগে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আসে চিকিৎসার জন্য। সে মুহুর্তে রক্ত দেখে লোকজন তাকে জিঞ্জেস করলে সে অপহরন ও জোড় করে দুর্বৃত্তরা তার লিঙ্গ কেটে দিয়েছে বলে নাটক সাজায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্ররণ করে।
ইব্রাহিম উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হামছাদি গ্রামের আনোয়ার উদ্দিনের ছেলে। সে উলুকান্দি হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।