নিউজ সোনারগাঁ টোয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে জমি রেজিষ্ট্রেশনে রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগে দলিল লিখক সেলিমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার জিয়াউল হক ।
গত ২৩ জানুয়ারী এক আদেশে ওই দলিল লিখককে বরখাস্ত করা হয়। এবং সাবেক সাব রেজিষ্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপ মহা পরিদর্শক (নিবন্ধক) কাছে চিঠি দিয়েছে জেলা রেজিষ্টার।
জানা যায়, উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের চর লাউয়াদী মৌজায় প্রতি শতাংশ নাল জমির মূল্য ৩ লাখ ৩৩ হাজার তিন শত ৩৩ টাকা বাজার মূল্য নির্ধারণ করে সরকার। গত ২৪ এপ্রিল ২০১৬ সালে ৫৪৭২ নং দলিল মূলে দলিল গ্রহিতা সাহাপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার ও দাতা হিসেবে নানাখি গ্রামের সুরুজ মিয়া, জায়েদ আলী ও রতœা বিবি সাব কাবলায় ওই মৌজায় ৪৮ শতাংশ নাল জমি ৬ লাখ টাকা মূল্যের ভিটি দেখিয়ে দলিল লিখক ১০৮ নং সনদধারী মো. সেলিম তৎকালীন বৈদ্যোরবাজার সাব রেজিষ্ট্রার আবু তাহের মো. মোস্তফার যোগসাজসে দলিল সৃজন করে। যাহার সরকারী নির্ধারিত নাল জমির বাজার মূল্য এক কোটি উনষাট লক্ষ নিরানব্বই হাজার নয়শত চুরাশি টাকা। এ দলিলে ১৫ লক্ষ টাকার অধিক মূল্যের রাজস্ব ও স্ট্যাম্প ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় দূর্নীতি দমন কমিশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রারের কাছে শিবলী মতিন নামের এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রারের কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রারের কাছে চিঠি দেওয়া হয়। বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রার রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করে জেলা রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করে। প্রতিবেদন দাখিলের পর গত ২৩ জানুয়ারী নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্টার জিয়াউল হক ওই দলিল লিখককে সাময়িক বরখাস্ত ও ফাঁকি দেওয়ার রাজস্ব আদায় করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ওই দলিল লিখককে সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ে আসতে মানা করা হয়। এছাড়াও ফাঁকি দেওয়ার রাজস্ব আদায়ের জন্য বৈদ্যেরবাজার সাব রেজিষ্ট্রারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈদ্যোরবাজার সাব রেজিষ্ট্রার আব্দুর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০১৬ সালের একটি দলিলে রাজস্ব ফাঁকির বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদন দাখিলের পর অভিযুক্ত দলিল লিখককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ফাঁকি দেওয়ার রাজস্ব আদায়ের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। রেজিষ্ট্রার কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা রেজিষ্ট্রার জিয়াউল হক জানান, বৈদ্যোরবাজার সাব রেজিস্ট্রি অফিসের রাজস্ব ফাঁকির গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে অভিযুক্ত দলিল লিখককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।