নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁয়ের বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের হাড়িয়া এলাকায় মেঘনা নদী ভরাট করে গড়ে তোলা আব্দুল আমান গ্রুপের নির্মানাধীন ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কতৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটায় নির্বাহি ম্যাজজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে এবং নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের যুগ্ন-পরিচালক গুলজার আলীর তত্ত্বাবধানে মেঘনা নদীতে চুতুর্থ দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযান চালায় সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় আমান গ্রুপের অংগ প্রতিষ্ঠান আমান ইকোনোমিক জোনের নির্মানাধীন ওই শিল্প কারখানার নামে নদী দখল করে ১শ’ ফুট প্রশস্ত ও ছয় হাজার বর্গফুট দৈর্ঘ্যের জায়গা দখলমুক্ত করতে ভেকু দিয়ে খনন কাজ শুরু করা হয়। একই সাথে নদী ভরাটের কাজে ব্যবহৃত বিপুল পরিমান বালু নিলামে তুলে ৯৬ লক্ষ ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এর পাশাপাশি নদীর তীরে আমান গ্রুপের বাঁশের বেড়ার সীমানাও ভেংগে ফেলে বিআইডব্লিউটিএ কতৃপক্ষ।
নদী ভরাট ও দখলের অভিযোগে আমান গ্রুপের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার নাদিরুজ্জামান ও নির্বাহী পরিচালক (কর্পোরেট এ্যাফেয়ার্স) রবিউল হককে আটক করে বিআইডব্লিউটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত।
উচ্ছেদ অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মো: শহীদুল্লাহ সহ টেকনিক্যাল বিভগের কর্মকর্তারা।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ন-পরিচালক জানান, নদী দপ্তরের অনুমোদন থাকলেও এই শিল্প প্রতিষ্ঠানটি সরকারি আদেশ ভংগ করে নদীর নির্ধারিত জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মান সহ নদীর বিরাট অংশ ভরাট করে ফেলেছে। তাই তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি জানান,নদী দখল করে স্থাপনা নির্মানকারী বসুন্ধরা গ্রুপ, মেঘনা ফ্রেশ গ্রুপ সহ আরো বেশ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হবে।
গুলজার আলী আরো বলেন, গত শুক্রবার নদী কমিশনের চেয়ারম্যান বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিন মেঘনা নদী পরিদর্শন করে মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনোমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ড্রাষ্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানে নদী দখলের প্রমান পেয়েছেন। তারই আলোকে এ অভিযান চালানো হচ্ছে।