নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে দুই বালু সন্ত্রাসীর মধ্যে সংষর্ঘ হয়েছে। এতে উভয় গ্রুপের ৭ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বিকালে মেঘনা আনন্দবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের আনন্দবাজার এলাকার মেঘনা নদী থেকে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের প্যানের চেয়ারম্যান পানাম গাবতলী গ্রামের ইসমাইল মেম্বারের ছেলে রকি হোসেন ও মোবারকপুর গ্রামের হাসরুলের ছেলে মহসিন দীর্ঘদনি যাবৎ মেঘনা নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের ড্রেজার ভেঙ্গে দেয়ার পরও তারা ৬ মাস ধরে বালু উত্তোলন করে আসছে। গত মঙ্গলবার রাতে মেঘনা নদীতে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করার জন্য ২ গ্রুপই ড্রেজার বসানোর চেষ্টা করে। এতে কে কোথায় বসাবে এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। এর জের ধরে ইসমাইলের ছেলে রকি ও হাসারুলের ছেলে মহসিনের নেতৃত্ব অর্ধ শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে রকি হোসেন ও তার সাথে থাকা অনিক মিয়া ও সজিব মিয়া আহত হয়। অপরদিকে মহসিন গ্রুপের মহসিন, তাজুল, মনির রিপন ও আরিফ আহত হয়। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত রকি হোসেন বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত রকি হোসেন জানান, চাদাঁর টাকা না পেয়েই সন্ত্রাসীরা আমাকে ও আমার ড্রেজারের স্টাফদের মারধর করেছে এবং আমার হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। অপর দিকে মোহসিন মিয়া জানান, হামলায় তার পক্ষের লোকজনও আহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ নেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।