নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বৈদ্যোরবাজার ইউনিয়নের মোবারকপুর এলাকায় প্রতিপক্ষের হামলায় টেঁটাবিদ্ধসহ ৮জন আহত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে বালু সরবরাহকারী ড্রেজারে হামলা চালালে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপপ্লেক্সসহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা। এ ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধ আহত সামসুল হকের ছেলে আহত আব্দুল কাদির বাদী হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সোনারগাঁও থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়নের মামরকপুর গ্রামের সানাউল্লাহর সাথে পানাম গাবতলী গ্রামের ইসমাইল হোসেনের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে শুক্রবার সকালে মেঘনা নদীর তীরে রাখা ইসমাইল হোসেনের বালু সরবরাহকারী ড্রেজারে সানাউল্লাহর নেতৃত্বে ইয়াকুব আলী, ইব্রাহিম, আমজাদ হোসেন, গোলজার, মোশারফ, আল আমিন, আলম, মানসুর, নুরুল হক, আজিজুলসহ অজ্ঞাত ২০-২৫জনের একটি দল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ড্রেজার ভাংচুর করে যন্ত্রাংশ লুট করে নিয়ে যায়। এসময় ড্রেজার শ্রমিকদের পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। হামলায় সামসুল হক, নুর হোসেন, আব্দুল কাদির, খলিল, তোফজ্জলসহ ৮জন আহত হয়।
মামলার বাদী আহত আব্দুল কাদির বলেন, মেঘনা নদীর তীরে রাখা আমার ফুফাতো ভাই ইসমাইল হোসেনের ড্রেজারে সামসুল হকের নেতৃত্বে ৩০-৩৫জনের একটি দল হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে আমাকেসহ শ্রমিকদের মারধর করে। শ্রমিকদের কান্নার শব্দ শুনে আমার বাবা এগিয়ে গেলে আমার বাবাকেও পিটিয়ে ও টেঁটাবিদ্ধ করে আহত করে।
অভিযুক্ত সানাউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার উপর ইসমাইল হোসেনের লোকজন হামলা করেছে। আমিও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ড্রেজারে হামলার ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।