নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাসের কারণে কিছুদিন লক ডাউন থাকার পর লক ডাউন কিছুটা শিথিল করার পর আবারো পুরোনা রূপে ফিরেছে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা। জনকলহ মুক্ত পরিবেশ আবারো মানুষের আনাগোনায় ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশ পরিবেশ। জীবিকার তাগিয়ে সকাল থেকেই ভীড় করছে জনগুরুত্ব এ স্থানটিতে। ফলে সকাল থেকেই লক্ষ্য করা গেছে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার গ্যান্ডট্যাংক রোডে তীব্র যানজট।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ মার্চ থেকে দেশের সকল সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গনপরিবহন বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে গত ৭ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে লক ডাউন ঘোষনা করে আইএসপিআর। লক ডউন ঘোষনা পর কমতে থাকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার লোক সমাগম। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ও করোনা সংক্রমনের ভয়ে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হয়নি। ফলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হয়ে পড়ে জনমানবহীন নিঃপ্রাণ। তবে কিছু আগে লক ডাউনের মধ্যে কিছু মুনাফা লোভী দোকানদার প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকন খুলেও প্রশাসনের কঠোরতায় তা থেকে পিছু হঠে আসে। এদিকে জনগনের জীবনের সাথে জীবিকার কথা চিন্তা করে গত ১০ তারিখ থেকে লক ডাউন শিথিল করে সরকার। খুলে দেয়া হয় শপিংমল, বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলো। সরকারের এমন ঘোষনার পর করোনা সংক্রমনের কথা চিন্তা করে দেশের প্রায় ৯৫ভাগ শপিংমল, বিপনী বিতান ও মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয় মালিকপক্ষ। কিন্তু সরকারের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে গতকাল রবিবার থেকেই খুলতে শুরু করে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো। শুরু মানুষের আনাগোনা। উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার লোক সমাগম শুর হয় এখানে। ফলে গতকাল থেকেই জনমানবহীন মোগরাপাড়া হয়ে উঠে প্রাণচাঞ্চল্য। ব্যবসায়ীরা খুলতে শুরু করে মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো। সকাল থেকে মার্কেটে ভীড় করতে থাকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। ফলে সকাল থেকে গ্যান্ডট্যাংক রোডে দেখা দেয় তীব্র যানজট। তবে জীবিকার তাগিয়ে মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো খুলে দেয়ার পর অতিরিক্ত মানুষের চাপে মানা হচ্ছেনা সামাজিক দুরত্ব। মার্কেটগুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। ফলে করোনার ঝঁকি আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন সচেতন সোনারগাঁবাসী।