নিউজ সোনারগা৭২৪ডটকম: ভ্যাপসা গরমের মধ্যেই সোনারগাঁয়ের বাজারে চলে এসেছে শীতকালীন সবজি শিম ও গাজরসহ অন্যান্য সবজি। মৌসুম শুরুর বেশ আগে ভাগেই চলে আসা এ সবজি প্রায় সব বাজারেই দেখা গেলেও, দাম অনেকটা নাগালের বাইরে। বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।
শিমের পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বেশিরভাগ সবজি। এর মধ্যে পাকা টমেটো ১৩০ টাকা ও গাজরের কেজি ১০০ টাকা ছুঁয়েছে। এছাড়া উস্তে ও বরবটির কেজি একশ টাকার কাছাকাছি। ৪০ টাকা কেজির নিচে মিলছে শুধু পেঁপে।
শুক্রবার সোনারগাঁয়ের মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজার, আদমপুর বাজার, উদ্ধবগঞ্জ বাজার, কাঁচপুর, নিউটাউনের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, শীত আসতে এখনও অনেক সময় বাকি। তবে শীতের আগাম সবজি হিসেবে শিম ইতোমধ্যে বাজারে চলে এসেছে। আগাম বাজারে আসায় এ সবজিটির দাম একটু চড়া।
ব্যবসায়ীদের দাবি, যেকোনো সবজি বাজারে নতুন আসলে দিয়ে একটু বাড়তিই থাকে। তবে এবার শিমের দাম অন্যবারের তুলনায় বেশি।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) শিম বিক্রি করছেন ৪০ টাকায়। আর এক কেজি নিলে দাম রাখা হচ্ছে ১৬০ টাকা। একই দামে শিম বিক্রি হতে দেখা গেছে আদমপুর ও উদ্ধ্গঞ্জ বাজারে।
তবে খুচরা বাজারের তুলনায় কাঁচপুর বাজারে তুলনামূলক কম দামে পাওয়া যাচ্ছে শিম। মানভেদে বাজারটিতে এক পাল্লা (৫ কেজি) শিম বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকায়। অর্থাৎ প্রতি কেজি শিমের দাম পড়ছে ১২০-১৪০ টাকা। এছাড়া বাধাকপি প্রতিপিছ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। ফুল বপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা বাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, নতুন আসার কারণে এখন শিমের দাম একটু বেশি। ধীরে ধীরে শিমের সরবরাহ বাড়লে দামও কমে যাবে। তখন অন্যান্য সবজির দামও কমে যাবে।
তিনি বলেন, শুধু শিম না, এখন সব সবজির দাম চড়া। কয়েক মাস ধরেই টমেটো ১০০ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বেশ কিছু সবজির দাম ৬০ টাকার ওপরে। বাজারে শীতকালীন সবজি ভরপুর না আসা পর্যন্ত এই দাম কমার খুব একটা সম্ভাবনা নেই।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজি। উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। এ সবজিগুলো কয়েক সপ্তাহ ধরেই এমন চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
চড়্া দামে বিক্রি হওয়া সবজির তালিকায় রয়েছে- পটল, ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিংগা, বেগুন, কাকরল, ঢেঁড়স, লাউ। চিচিংগা, ঝিঙে, ধুনদলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। পটল, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি। লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা পিস।
চড়া দামের এই বাজারে কিছুটা কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে ও মিষ্টি কুমড়া। পেঁপের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা। মিষ্টি কুমড়ার ফালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকা।
এদিকে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা। দেশি পেঁয়াজের বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫-১১০ টাকায়। আর সাদা বয়লার মুরগি ১৪০-১৫০ টাকা এবং লাল লেয়ার মুরগি ২০০-২১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে নিয়মিত বাজার করেন আলেয়াা বেগম। তিনি বলেন, বাজারে সব সবজির দাম বেশি। এক পোয়া শিম চায় ৪০ টাকা। বলেন এটা কীভাবে সম্ভব! আমাদের মতো নিম্ন আয়ত্তের মানুষের পক্ষে এই দামে শিম কিনে খাওয়াা সম্ভব না। শুধু কি শিম? সব সবজির দাম বেশি। ৫০ টাকার নিচে কোনোটার দাম নেই। জিনিসের এমন দাম হলে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। কিন্তু যাদের টাকা আছে তাদের কোনো সমস্যা নেই।