নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সোনারগাঁয়ের সকল মার্কেটগুলো বন্ধ থাকলেও জমে উঠেছে ফুটপাতের বেচাকেনা। ঈদকে সামনে রেখে নি¤œ আয়ের মানুষ তাদের স্বজনদের জন্য ফুটপাত থেকে পছন্দের জামা কাপড় কিনছেন। তবে ফুটপাত ঘুরে দেখা গেছে ফুটপাতের অনেক দোকানদারই মার্কেটের দোকানদার। তারা মার্কেটে দোকান খুলতে না পেরে দোকানের কর্মচারী কিংবা নিদিষ্ট বেতনে হিসেবে কর্মচারী রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। অনেক ব্যবসায়ী আবার খন্দকার প্লাজার পিছনে সিডাস কিন্ডার গার্টেনের সামনে দোকান দিয়ে বসেছে।

জানাগেছে. গত ১০ তারিখ থেকে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব মেনে মার্কেট খোলার অনুমতি দেয় সরকার। সরকারের এ সিদ্বান্ত না মেনে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ বড় বড় মার্কেট ও শপিংমলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্বান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এদিকে, সরকারের মার্কেট খোলার ঘোষনার পর গত ১০ তারিখ থেকে সোনারগাঁয়ের মার্কেটগুলো খুলে বসেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সরকারের বেধে দেয়া স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে না পারার কারণে গত ১৪ তারিখ থেকে সোনারগাঁয়ের সকল মার্কেট বন্ধ করে দেন সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসন। এরপর কিছু দোকান মার্কেট খোলা রাখার অপরাধে আর্থিক জরিমানা করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এরপর থেকে কয়েকদিন মার্কেট বন্ধ রাখার পর বিভিন্ন উপায়ে গোপনে মার্কেটের পিছনের গেইট খুলে ব্যবসা শুরু করে দোকানদারা। পরে প্রশাসন গোপনে মার্কেটে শপিং করা কাস্টমারদের ধাওয়া পর্যন্ত দেয়। তখন কাস্টমাররা ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এখনও কিছু দোকানদার এখন গোপনে প্রশাসের চোখ ফাঁকি দিয়ে দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

এদিকে, মার্কেটগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে মার্কেটের দোকানদাররা খন্দকার প্লাজার পিছনে বাড়ী মজলিশ গ্রামের সিডাস স্কুলের সামনে অস্থায়ী দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করেছেন। এ নিয়ে বাড়ী মজলিশ গ্রামের বাসিন্দারা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করেও কোন প্রতিকার পাননি। অপরদিকে, এতদিন মোগরাপাড়া চৌরাস্তার ফুটপাতগুলোও বন্ধ থাকলে গত কয়েকদিন ধরে জমে উঠেছে ফুটপাতের বেচাকেনা। ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভীড় করছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। সেখানে স্বাস্থ্য বিধি মানছেনা মানুষ। একজন আরেকজনের সাথে গাদাগাদি করে কিনছেন জামাকাপড় ও জুতাসহ বিভিন্ন আইটেমের জিনিসপত্র।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে এক ফুটপাত ব্যবয়ারী জানান, তাকে প্রতিদিন নিদিষ্ট বেতনে একজন মার্কেটের দোকানদার নিজে না বসে তাকে দোকানে বসিয়েছেন। যখন কাস্টমার বেশী থাকে বা বেচাকেনা হয় তখন তিনি এসে টাকাটা নিয়ে দুরে সরে যান।

আরেক ফুটপাতের দোকানদার জানান, পুলিশ কতদিন বসতে দেননি তাই তার ব্যবসা অবস্থা খারাপ ছিল এখন পুলিশ আসেনা তাই সবার দেখাদেখি দোকান বসিয়ে বেচাকেনা করছেন। তিনি আরো জানান, মার্কেট বন্ধ বিধায় তাদের বেচাকেনা ভাল। তবে নি¤œ আয়ের লোকজন কেনাকেটা করেন বিধায় একটু দামাদামি বেশী করতে হয়। মুখের মাস্কের কথা জিঞ্জেস করলে তিনি জানান, দেই মাঝে মাঝে গরম লাগে তাই পকেটে রেখে দেই। যদি করোনায় আক্রান্ত হন এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান গরীরের করোনা হয় না।