নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সরকারের দেয়া লক ডাউন শিথিল করে গত ১০ তারিখ থেকে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে সারা দেশের শপিংমল, মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো স্বাস্থ্য বিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার। করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারের এ সিদ্বান্ত থেকে সরে এসে বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ বড় বড় শপিংমল ও মার্কেটগুলো বন্ধ রাখার ঘোষনা দেয় মালিক কর্তৃপক্ষ। করোনার সংক্রমন থেকে বাঁচতে সোনারগাঁয়ের মার্কেট মালিকরা তাদের সাথে একত্মা ঘোষনা করে সকল মার্কেট বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। সে জন্য গত রবিবার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার অনেক মার্কেট বন্ধ রাখা হয়। কিন্তু আইয়ুব প্লাজার কিছু দোকানদার দোকান খুলে ব্যবসা শুরু করে পরে সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার হস্থক্ষেপে তারা মার্কেট বন্ধ করে দেন। এদিকে অন্য মার্কেটের দোকানদাররা ঘোষনা দেন এমপি সাহেবের মার্কেট বন্ধ থাকলে তারাও মার্কেট বন্ধ রাখবেন। কিন্তু অবশেষে এমপি সাহেবের মার্কেট ঠিকই বন্ধ কিন্তু অন্য মার্কেটের দোকানদাররা তাদের কথা রাখতে না পেরে আস্তে আস্তে তাদের সিদ্বান্ত থেকে সরে গিয়ে মার্কেট খুলে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করে। তবে কোন মার্কেটেই মানা হয়নি সরকারী স্বাস্থ্য বিধি।
সরে জমিনে মঙ্গলবার দুপুরে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কের উপজেলার পাশের দিকে রহমত ম্যানশন, এম রহমান প্লাজা, মোস্তফা মার্কেট, ঈশাখা মোবাইল মার্কেট ও স্বপ্নদ্বীপ মার্কেট খোলা রয়েছে। অপরদিকে, মহাসড়কের কলেজ পার্শের নুরা ব্যাপারীর মার্কেট, শাহবুদ্দিন মার্কেট, রজ্জব আলী মার্কেট,শপিং কমপ্লেক্সসহ ছোট খাটো সকল মার্কেটেই খোলা রয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতাদের সমাগম না থাকলেও রংবেরংঙ্গের কাপড় সাজিয়ে বসে আছেন দোকানীরা। তারা জানান, এবার করোনার কারণে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ঈদে নতুন তেমন কোন আকর্ষনীয় পোশাক বাজারে আসেনি। তারপর ক্রেতাদের মনের মতো পোশাক তুলতে তারা চেষ্টা করছেন। তবে অনেক দিন মার্কেট বন্ধ থাকার কারণে ও করোনার প্রাদুর্ভাব না কমায় মার্কেটে ঈদ তুলনায় কাষ্টমার খুবই কম।