নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ করোনা ভাইরাসের আতঙ্ককে কাজে লাগিয়ে দিনে রাতে কয়েকশত শ্রমিক কাজে লাগিয়ে মেঘনা নদী ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদ দূষন করার সকল আয়োজন ইতিমধ্যে শেষ করেছে মেঘনা গ্রুপ। সেজন্য তারা উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ফুলবাড়িয়া খাল দখল করে বালু দিয়ে ভরাট করে ৮ ফিট পাইপ দিয়ে গভীর ড্রেন নির্মান করেছে। ড্রেনটি নির্মাণ সর্ম্পূন হলে মেঘনা ব্রক্ষ্মপুত্র নদ ও মেরীখালিসহ ৩টি নদী দূষিত হবে নষ্ট মোগরাপাড়া পিরোজপুর ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নের কয়েক হাজার হেক্টর কৃষিজমি।
জানাগেছে, উপজেলা মোগরাপাড়া এলাকার ঐতিহ্যবাহী ফুলবাড়িয়া খাল দখল করে গত কয়েকদিন ধরে মেঘনা ইকোনোমিজোন ৮ ফিট সিমেন্টের পাইপ দিয়ে খাল দখল করে খালের উপর ড্রেন নির্মান করছে। খালটি দখল করার ফলে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এতে বর্ষাকালে বৃষ্টির পানি সরতে না পেরে গোহাট্টা, ফুলবাড়িয়া, বড় সাদিপুর, সাহেববাড়ি, ছোটসাদিপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেয়ে কৃত্রিম বন্যা দেখা দিতে পারে। অপরদিকে, খালটি উপর দিয়ে নির্মান করা ড্রেন দিয়ে মেঘনা ইকোনোমিজোন তাদের ২০ কোম্পানীর দূষিত বর্জ্য অপর একটি খালে ফেলবে। সে খালের মাধ্যমে দূষিত বর্জ্য মেরীখালি খাল হয়ে সরাসরি মেঘনা নদী ও ব্রক্ষ্মপুত্র নদে গিয়ে পড়বে। এতে দূষনের কবলে পড়বে বড় দুটি নদী এবং ব্যাহত হবে মেরীখালী খালের আশপাশের ৩০টিও বেশী গ্রামের কৃষিজমি ও নদীর মাছ। এছাড়া সরকার রাজধানীবাসীর জন্য মেঘনা নদী থেকে পানি নিবে বলে যে প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে ড্রেনটি নির্মান সম্পূন করলে মেঘনা নদী দূষনের ফলে ভেস্তে যেতে পারে সরকারের নেয়া কয়েকহাজার কোটি টাকার প্রকল্প ও ব্যাহত হবে বৃক্ষ্মপুত্র নদে সনাসত ধর্ম্বারম্বীদের লাঙ্গলবন্ধ স্নান। তবে এ দিনের আলোতে এতবড় একটি খাল দখল করলেও ব্যবস্থা নেননি স্থানীয় জনপ্রতিনিধরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, মেঘনা গ্রুপ করোনার প্রাদুর্ভাবকে কাছে লাগিয়ে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কয়েকশত শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে ফুলবাড়িয়া খালটি ভরাট করে ইকোনোমিজোনের জন্য একটি ড্রেন নির্মান করছে। খালটি ভরাট করে ড্রেন নির্মান করা ফলে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে বেশ কয়েকটি গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে যেতে পারে এবং দেশের ৩টি নদী দূষিত হবে। সরকারের উচিত নদীগুলো বাঁচাতে এ ড্রেন বন্ধ করে দেয়া।
এ ব্যাপারে মেঘনা ইকোনোমিক জোনের পরিচালনা পর্যদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
ড্রেন নির্মানের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, সারা পৃথিবী যেখানে করোনা আতঙ্কিত সেখানে একটি কোম্পানী মানুষকে বিপদে ফেলে খালের উপর ড্রেন নির্মান করছে শুনে অবাক লাগছে। আমি এখন খালের উপর নির্মান করা ড্রেনের কাজ বন্ধ করে দিব।