নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ৫০ লাখ টাকার মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে একই গ্রামের ছামসুদ্দিনের ছেলে আশরাফ উদ্দিন বাদি হয়ে এই মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলাটি দায়ের করেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কাবিলগঞ্জ গ্রামের ছামসুদ্দিনের ছেলে মামলার বাদি আশরাফ উদ্দিন ও তা ছোট ভাই সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিন্নিপাড়া এলাকায় জায়গা-জমি ক্রয় করা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বীতা চলছে।
এদিকে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য মজিবুর রহমান জমি ক্রয় করতে ছোট ভাই সাহাবুদ্দিনকে সাহায্য কারাতে তার বড় ভাই আশরাফ উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয় মজিবুর মেম্বারের উপর। পরে মামলার বাদি আশরাফ উদ্দিন গত সোমবার রাতে মজিবুর মেম্বারের বাড়ির সামনে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোনারগাঁ থানায় গিয়ে ৫০লাখ টাকা চাঁদা দাবি, ৬লাখ টাকার মালামাল ভাংচুর ও ১০লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফ মাসুদ বাবু বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে না এসে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই একজন জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ৫০লাখ টাকার চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা থানায় নেয়া এটা খুবই দুঃখ জনক।
মজিবুর মেম্বার বলেন, গত মঙ্গলবার রাতে তার বাড়িতে তাকে পুলিশ ধরতে আসে। ওই সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরে ঘটনাটি জানার পরপর বিষয়টি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) মো. সাজেদুর রহমানকে অবহিত করেন।
এদিকে মামলার বাদি আশরাফ উদ্দিন জানান, গত সোমবার মোবাইল ফোনে তার কাছে চাঁদা চাওয়া হয়েছে এবং এ ঘটনায় মজিবুর মেম্বার ও একই গ্রামের ধনু মিয়ার ছেলে ইয়াবা ও ফেনসিডিল ব্যবসায়ীদের ডিলার লিটন সহ অজ্ঞাত ১০-১২ জড়িত থাকায় মামলাটি থানায় দায়ের করে।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোরশেদ আলম জানান, থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা নেয়া হয়েছে। তবে মজিবুর রহমান জনপ্রতিনিধি সেটা তিনির জানা ছিল না।
অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল-বি) মো. সাজেদুর রহমান বলেন, ৫০ লাখ টাকার চাঁদাবাজির মামলাটি থানায় রুজু হওয়ার পর তিনি জানতে পারেন। তবে ওই মামলার বিষয়টি তিনি নিজেই নিরপক্ষভাবে তদন্ত করবেন এবং যাতে কেউ মিথ্যা হয়রানীর শিকার না হন, সেভাবেই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে