নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সরকারের বেধে দেয়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল রবিবার থেকে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ের বিপনী বিতান ও মার্টেকগুলো খোলার কথা থাকলেও তা যথাযর্থ মানছেন না মার্কেট মালিক ও দোকানদাররা। তবে, দু একটা মােের্কটের সামনে হাতে বানানো জিবানু নাশক বোতল নিয়ে একজন বসে থাকলে দেখলেও কাজের কাজ তারা কিছুই করেছেনা। ফলে করোনা ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে বিতানী বিতান ও মার্কেটগুলোতে।
সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে সরকারী নিয়মের আগেই তারা সকাল বেলা দোকান খুলে বসে আছে। দোকানদারদের মুখে মাস্ক থাকলেও তার করোনা মোকাবেলায় যতেষ্ট না। অনেকে আবার মাস্ক পড়েছেন ঠিকই কিন্তু গরমের অজুহাতে কেউ পকেটে আবার কেউ মুখের নিচে নামিয়ে রেখেছেন। সামাজিক দুরত্বের বেলায় নেই কোন নিয়মনীতি। একজনের ঘাটের উপর দাড়িয়ে আরেক ক্রেতা জামাকাপড় দেখেছেন। দোকানদাররাও সামাজিক দুরত্ব না রেখে মুখের সামনে এসে কাপড়ের দরদাম করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি এলাকার ২ কিলোমিটারের মধ্যে জনগনের জন্য মার্কেটে আসার নিয়ম থাকলেও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার বেশীর ভাগ ক্রেতাই দুরের। ক্রেতারা কেউ এসেছেন বন্দর এলাকা থেকে কেউ এসেছেন মেঘনা, বাউসিয়া ও দাউদকান্দি থেকে। ক্রেতাদের মুখে নেই কোন মাস্ক ও সুরক্ষা সামগ্রী। বিশেষ করে মহিলা ক্রেতা বেশী থাকায় করোনা মোকাবেলায় তাদের গায়ের কাপড় ও স্কাপই ভরসা। অনেকেই মুখ খালি মুখেই হাসিখুশি মনে কথা বলছেন ক্রেতা বিক্রেতার উভয়।
মার্কেটে জামাকাপড় কিনতে আসা এক মহিলাকে তার মাস্ক কেই জিঞ্জেসা করলে তিনি জানান ভুলে বাড়িতে রেখে এসেছেন। তাকে ফের জিঞ্জেসা করা হলে আপনে যে মাস্ক ছাড়া মার্কেটে এসেছেন এতেও আপনি করোনার সংক্রমিত হতে পারেন কিংবা আপনার কাছ থেকে আরেক জন সংক্রমিত হতে পারে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান মরতে তো হবেই কপালে যদি করোনার মরন থাকে তাহলে মরমু। চিন্তা করে লাভ কি
এ ব্যাপারে মার্কেট মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা কাষ্টমার ও দোকানদারদের নিরাপত্তার কথা ভেবে মার্কেটে প্রবেশের সময় হাতে জীবানু নাশক দিয়ে দিচ্ছেন। ক্রেতা ও বিক্রেতা যাতে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে সেজন্য দোকানদারদের বলে দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আল মামুন জানান, স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে আমি প্রতিদিনই মোগরাপাড়া চৌরাস্তার মার্কেটগুলোতে মনিটরিং করি। মার্কেটের মালিকদের মার্কেটের প্রবেশ পথে জীবনুনাশক টানেল তৈরী ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে দোকান খোলার রাখার নির্দেশ দিয়েছি।