নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁ উপজেলার দৌলরদী এলাকায় বাল্যবিবাহের ছোবল থেকে ৮ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থীকে রক্ষা করলেন ইউএনও রকিবুর রহমান খান। শুক্রবার সকালে তার হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এ বাল্যবিবাহ। এসময় ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনা করে কনের পিতাকে নগদ ১ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার সনমান্দী ইউনিয়ন ৩ নং ওয়ার্ডের দৌলরদী গ্রামের শাহজাহান মিয়ার কন্যা মিতু আক্তারের সাথে একই উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়ন চৌরাপাড়া এলাকায় বিবাহের দিন ধার্য ছিলো গতকাল শুক্রবার।গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুর রহমান খান গতকাল শুক্রবার সকালে কনের পিএালয়ে গিয়ে উপস্থিত হোন এসময় বিভিন্ন কাগজপএ দেখে কনের বয়স ১৩ বছর ৯ মাস ০৮ দিন (শুক্রবার দিন পর্যন্ত) হওয়ায় বন্ধ করে দেন এ বাল্যবিবাহ এবং ভেঙ্গে দেন বরযাত্রী বসার পেন্ডেল।মিতু আক্তার স্হানীয় পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক এসআই রুস্তম আলী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাজমা আক্তার,উপজেলা পরিষদের অফিস সহকারী মিজানুর রহমান, সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তোতা মিয়া সহ আরো অনেকে।পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জানান, মিতু আক্তার আমাদের বিদ্যালয়ের অস্ঠম শ্রেনীর ছাত্রী।আমাদের কাছে জমা দেয়া কাগজে উল্লেখ আছে তার জন্ম ০৫-০৩-২০০৬ ইং তারিখ।ভ্রাম্মমান আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুর রহমান খান বলেন, কনের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।বাল্যবিবাহ দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় কনের পিতাকে নগদ এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং কনের প্রাপ্তবয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন কনের পিতামাতা।এর ব্যত্তয় ঘঠলে পিতামাতা সহ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।