নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আজ ঈদুল ফেতর। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারির কারনে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও লক ডাউন চলছে। তারপরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা ঈদগাহ পরিবর্তে মসজিদে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে নামাজ পড়ার অনুমতি দেয় সরকার। কিন্তু ঈদে ঘর থেকে বেরুনো, আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে বেড়ানো ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এরপর সোনারগাঁয়ে কিছু মানুষ সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাদুঘরসহ বিভিন্ন জায়গায় পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসেন। করোনাকালে এসব মানুষকে করোনার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে উপজেলার বিভিন্ন বিনোদন স্পটগুলোতে নজরদারী করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আল মামুন। এসময় তিনি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে আসা মানুষকে করোনার ভয়াবহতা সর্ম্পকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) আল মামুন জানান, সোনারগাঁবাসীকে করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে আমরা প্রতিদিনই কাজ করে যাচ্ছি। তারপর মানুষ প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কারণে অকারণে মানুষ ঘর থেকে বাহির হয়ে বিভিন্ন স্থানে আড্ডারত থাকেন। সোনারগাঁবাসী প্রতিদিনই সরকারের আদেশ অমান্য করে অযথা ঘুরাফেলার জন্য সোনারগাঁয়ে করোনার সংক্রমণ বেড়েই চলছে। করোনার সংক্রমণ যাতে বাড়তে না পারে সেজন্য বিনোদন স্পটগুলোতো নজরদারী বাড়িয়েছি। আমরা জানি ঈদের দিন সোনারগাঁও জাদুঘর, পানাম নগরী ও বৈদ্যেরবাজার এলাকায় অনেক লোকের সমাগম ঘটে। যেখানে মানুষ শারীরিক দুরত্ব না মেনে ঘুরাফেরা করছিলেন। এসব জায়গায় নজরদারী করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘুরতে আসা লোকজনকে বুঝিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলা হয়। এছাড়া মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় এলাকায় কিছু দোকানদান চটপটির দোকান বসিয়ে লোক সমাগম করে চটপটি বিক্রি করছিল। পরে সেখানে গিয়ে তাদের চটপটির দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। তিনি আরো জানান, তাদের এ নজরদারী অব্যাহত থাকবে।