নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণরোধে এবারের ঈদুল ফিতরে ঈদ জামাত ঈদগাহ কিংবা খোলা স্থানের পরিবর্তে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। মসজিদে নামাজের ব্যাপারে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে, জায়নামাজসহ মসজিদের যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। একইসাথে কোলাকুলি এবং হাত মেলানো থেকেও বিরত থাকতে বলেছেন।
২৩মে (শনিবার) নিউজ সোনারগাঁকে এ তথ্য জানান সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।
সাইদুল ইসলাম বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সোনারগাঁয়ের প্রতিটি মুসল্লি ঈদের নামাজ অবশ্যই মসজিদে আদায় করবেন। সকলের প্রতি অনুরোধ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। পুলিশের পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা তা মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে মসজিদ কর্তৃপক্ষের প্রতিও অনুরোধ মুসল্লিদের উপস্থিতি বেশি হলে প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাতের ব্যবস্থা করার।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোনারগাঁবাসীকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তা হলো-
১. ঈদের নামাজের জামাতের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
২. জামাতের সময় মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রত্যেকে নিজের জায়নামাজ সঙ্গে নিয়ে যাবেন। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৩. মসজিদের প্রবেশদ্বারে সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
৪. মসজিদের ওজুখানা ব্যবহার না করে প্রত্যেককে নিজের বাসস্থান থেকে ওজু করে মসজিদে যেতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৫. ঈদের নামাজের জামাতে মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে যেতে হবে।
৬. ঈদের নামাজ আদায়ের সময় কাতারে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে দাঁড়াতে হবে।
৭. এক কাতার করে ফাঁকা রেখে কাতারবদ্ধ হতে হবে।
৮. জামায়াত শেষে কোলাকুলি ও পরস্পর হাত মেলানো যাবে না।
৯. মসজিদে শৃঙ্খলার সঙ্গে প্রবেশ ও বের হওয়ার সুবিধার্থে পৃথক ব্যবস্থা রাখতে হবে।
১০. আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের বাসায় যাওয়া যাবে না।
১১. ঈদের দিন ও পরবর্তী সময়ে বিনোদন কেন্দ্রে না গিয়ে নিজ ঘরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে হবে।
১২. ঈদ উদ্যাপনের লক্ষ্যে যারা ঢাকার বাইরে যাবেন, তাদের বাসা অথবা ফ্ল্যাটের প্রধান ফটকে অটোলক ব্যবহার এবং বাসা ত্যাগের আগে ঘরের দরজা-জানালা সঠিকভাবে তালাবদ্ধ করে যেতে হবে।
১৩. মালিকপক্ষকে নিজ উদ্যোগে মার্কেট/শপিং মলের নিরাপত্তা জোরদার এবং স্থানীয় থানা/ফাঁড়ির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।
১৪. ফাঁকা বাসায় মূল্যবান সামগ্রী না রেখে ঢাকায় অবস্থান করছেন এমন আত্মীয়-স্বজনের বাসায় তা রেখে যেতে হবে।