নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলা পশু সম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন শাখাওয়াত হোসেন ছাগল মৃত্যুর ব্যাপারে বলেন ভূল চিকিৎসায় নয় পিপিআর একটি মারাত্মক ভাইরাস জনিত রোগ আক্রান্ত হয়ে ছাগলটি মারা গেছে। বাকি ছাগলগুলো আমাদের হাসপাতালে আনার আগেই পা’গুলো বাকা ছিল। আমি চিকিৎসার আগে ছাগলের মালিককে এ রোগটি সর্ম্পকে অবহিত করেছি এবং ছাগলটি যে কোন সময় মারা যেতে পারে সে বিষয়েও অবগত করেছি। এছাড়া আমাদের হাসপাতালে লোকবলের অভাবে পিয়ন দিয়েই আমরা ইনজেকশন ও কাটাছিড়ার চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি। তবে ব্যবস্থাপত্র আমরা নিজেরাই লিখে দেই। গতকাল রোববার দুপুরে প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের পিয়নের ইনজেকশনে টুটুল মিয়া ইনজেকশন পুশ করে একটি উন্নত জাতের ছাগলের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন ছাগলের মালিক ফারুক মিয়ার ছেলে রিফাত। যা সঠিক না।
উপজেলা পশু সম্পদ কার্যালয়ের ভেটেনারি সার্জন শাখাওয়াত হোসেন আরো জানান, ছাগলের অনেক গুলো রোগের মধ্যে পিপিআর একটি মারাত্মক ভাইরাস একটি মারাত্মক রোগ । এ রোগে আক্রান্তের হার ৮০-৯০% এবং মৃতের হার ৫০-৮০% পর্যন্ত হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত হলে জ্বর, ঠান্ডা, কাশি, কম খাওয়া, পাতলা পায়খানা দেখা দেয়। যার ফলে অনেক ছাগল মারা যেতে পারে। যেহেতু এটি একটি ভাইরাস জনিত রোগ তাই অনেক সময় চিকিৎসা করানো হলেও ভাল হয় না। এ রোগ হতে প্রতিকার পেতে হলে ভাল থাকা অবস্থায় টিকা প্রয়োগ করতে হয়। যাই হোক গত রবিবারে আমার দপ্তরে রিফাত নামে একজন সংকর জাতের ছাগলের চারটি বাচ্চা নিয়ে আসে। বাচ্চা গুলো পরীক্ষা করে বুঝাতে পারি যে এগুলো পিপিআর রোগে আক্রান্ত। মালিককে এ ব্যাপারে বুঝিয়ে বলি এবং একটির অবস্থা খুবই ঝুকিপূর্ণ এমনকি মারা যেতে পারে এ বিষয়ে অবগত করি। এরপর দপ্তরে থাকা অবস্থায় বাচ্চাটি মারা যায়। ফলে বাকি বাচ্চাদের ব্যবস্থাপত্র লিখে দেই। এরপর ছাগলের মালিক গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে অভিযোগ আমার দেয়া তথ্য গোপন করে ভুল তথ্য প্রকাশ করে সাংবাদ প্রকাশ করে যা সঠিক না। এ ব্যাপারে আমি গুমাধ্যম কর্মী ও সংবাদপত্রের সম্পাদকের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।