নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ এম ডি অনিকঃ- কামতাল তদন্ত কেন্দ্র এখন পুলিশ ইনস্পেক্টর জাহাঙ্গীর আলমের সেলুন হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। বর্তমান তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইনস্পেক্টর জাহাঙ্গীর আলম অফিস চলা কালিন সময়ে নিজ অফিসের সরকারী চেয়ারে বসে বাহির থেকে নাপিত নিয়ে এসে চুলকাটা ও সেভ হওয়ার কাজ করে ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু হিসেবে পরিগনিত হয়েছেন। সরকারী অফিসে বসে সেভ হওয়ার ভিডিও এখন স্যোসাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের লাঙ্গলবন্দ। এই মহাসড়কের ডাকাতি ছিনতাই ও মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষে ততকালীন পুলিশ সুপার ড.খন্দকার মুহিদ উদ্দীনের উদ্যোগে লাঙ্গলবন্দ কামতাল এলাকায় একটি তদন্ত কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্র নির্মানের পর থেকে লাঙ্গলবন্দ,চিরইপাড়া,ধামগড়,কেওঢালা,জাঙ্গাল,মালিভিটা,মালিবাগসহ আশেপাশের সকল এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ইতিপূর্বে এখানে যেসকল ইনচার্জ দায়িত্ব পালন করেছেন তারা হলেন এসআই আনোয়ার হোসেন,এসআই আহসান নোমান ও ইনস্পেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের আশেপাশের এলাকা মাদক মুক্ত এবং মহাসড়কে ডাকাতি ও ছিনতাই মুক্ত হয়ে উঠে। কিন্তু সম্প্রতি কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ হিসেবে জাহাঙ্গীর আলম যোগদানের পর থেকেই সে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় ইটভাটা ও ব্যবসায়ীদের সাথে মান্তি করার জন্য ব্যাস্ত হয়ে উঠে।
অফিস কক্ষে সরকারী চেয়ারে বসে সেলুনের কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম জানান, এটা আমি তার কাছে জিজ্ঞেস করে শুনেছি এখানে সে সেভ হয়নি সে নাকি গোফ ছাটাই করেছে।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ খ অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই,আমি খবর নিয়ে দেখছি।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম বলেন, সে যদি এমনটা করে থাকে তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।