গত প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতেও তামিমের নেতৃত্বে সাফল্য আসেনি। ফলে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে নামার আগেই সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে তাকে। মঙ্গলবার ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কত্ব নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে এই ওপেনারকে।
সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, নেতৃত্বের জায়গায় সবকিছু সইতে রাজি তিনি। অতীত উদাহরণ টেনে ওয়ানডে অধিনায়কের বক্তব্য, ‘সত্যি কথা বলতে আমি যত সমালোচনার শিকার হয়েছি, আমার মনে হয় না কোনও ক্রিকেটার এভাবে হয়েছে। আমার সঙ্গে কারণে-অকারণে এমনটা হয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ে ভাবছি না। আমি যখন অধিনায়কের দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, তখন আমি নিশ্চিত ছিলাম আমার কাছে অনেক রকম প্রশ্ন আসবে, অনেক সমালোচনা আসবে। আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, নিজের দায়িত্বে ঠিক থাকা। আমি একটাই কথা বলবো আমি সমালোচনার জন্য প্রস্তুত।’
সঙ্গে যোগ করলেন, ‘পাশাপাশি আমি সম্মানিত, রোমাঞ্চিত বোধ করছি। এখন কথা হচ্ছে যখনই আপনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলবেন, তখন চাপ সবসময়ই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, সেটা আপনি কীভাবে মানিয়ে নিচ্ছেন।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে বলে জানালেন তামিম, ‘এটা একটা ভালো দিক বলতে পারেন যে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব শুরু করার আগে আমি দুটি টুর্নামেন্টে অধিনায়কত্ব করতে পেরেছি। মহামারীর কারণে দুর্ভাগ্যবশত আমরা বেশ কিছু সিরিজ মিস করেছি। দুটো টুর্নামেন্টই আমার জন্য কঠিন ছিল। কঠিন ছিল বলে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যদি ভালো করে থাকি তাহলে সেটা সামনে এগিয়ে নেবো।’
গত কয়েক বছর ধরে নিজের খেলার ধরনে কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন তামিম। যার ফলে দেশসেরা ওপেনারের স্ট্রাইক রেট নিচের দিকে নেমে গেছে। তামিমের এমন স্লো ব্যাটিংয়ের কারণে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ পড়ে। ফলে তারাও অস্বস্তি নিয়ে ব্যাটিং করেন। এই প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই বিরক্তি প্রকাশ পেলো তামিমের কথায়, ‘প্রত্যেক প্রেস কনফারেন্সে এই প্রসঙ্গে আমার কথা বলতে হয়। আমি কী করি আমি তা বলবো না। সবচেয়ে ভালো হবে যদি আপনারা পরিসংখ্যান ঘেঁটে দেখেন। এই প্রশ্নের একই উত্তর দিতে আমি আর উপভোগ করছি না। আপনি পরিসংখ্যান দেখলেই এর ভালো উত্তর পেয়ে যাবেন।’ বাংলা ট্রিভিউন