ফাইনালের পর ফরাসি একাধিক মিডিয়ার দাবি, আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি দেওয়া উচিত হয়নি। কারণ, বাইরের ফুটবলাররা মাঠে ঢুকে পড়েছিল। সমর্থকরা পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের দায়ের করেছে পিটিশন।
এদিকে মেসির করা গোল বাতিলের দাবী উঠলে, এবমাপের গোলটিও বাতিল করা উচিত বলে মনে করেন এই পোলিশ রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক।
কলাপাতা রেষ্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে রেফারি সিমন মার্চিনিয়াক বলেন, ‘আমি বলব ফরাসি সংবাদমাধ্যমটি বোকার মতো কাজ করেছে। কিছু জিনিস তাদের চোখ এড়িয়ে গেছে। আমাদের কাছে এমন একটি ছবি আছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ফ্রান্সের গোলের সময় ওদের সাতজন বদলি খেলোয়াড় মাঠে ঢুকে পড়েছিল।’ এ সময় নিজের মুঠোফোনে ম্যাচের একটি ছবি দেখান তিনি।
ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আলবিসেলেস্তেরা। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে মেসির গোলে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কিলিয়ান এমবাপ্পের দ্বিতীয় পেনাল্টি শুটআউটে সমতায় ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে ৪-২ ব্যবধানে হেরে যায় ফ্রান্স।
ফাইনালের পর ফরাসি একাধিক মিডিয়ার দাবি, আর্জেন্টিনার তৃতীয় গোলটি দেওয়া উচিত হয়নি। কারণ, বাইরের ফুটবলাররা মাঠে ঢুকে পড়েছিল। সমর্থকরা পুনরায় ফাইনাল আয়োজনের দায়ের করেছে পিটিশন।
ফাইনালে মেসির দ্বিতীয় গোলের সময়, সাইড লাইন থেকে মাঠে ঢুকেছেন খেলোয়াড়রা এমন অভিযোগের সত্যতা যেমন মিলেছে তেমনি, এমবাপের হ্যাটট্রিক গোলের সময় ফরাসীরাও প্রবেশ করে মাঠের ভিতর।
তবে, এখানেই শেষ নয়, টানা দুইবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকা ফরাসীদের এমন হার এখনো মেনে নিতে পারেনি ভক্তরা। পুনরায় ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দাবীতে ফিফার কাছে আবেদন জানায় সমর্থকরা, যেই পিটিশনে সায় দিয়েছে ২ লাখ ভ্ক্ত।
এদিকে, এখনও থামেনি আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজকে নিয়ে সমালোচনা। এবার আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ফ্রান্স।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপে সেরা গোল নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভোটাভুটিতে ব্রাজিলের রিচার্লিসনের বাইসাইকেল শটকেই বেছেঁ নিয়েছেন সমর্থকরা। ফিফাও গোলটিকে গোল অফ দ্য টুর্নামেন্ট হিসেবে নির্বাচিত করেছে।
এছাড়া, বিশ্বকাপের আগে পিএসজি কোচ ক্রিস্তাফে গালতিয়ের প্যারিসে বিশ্বকাপ ট্রফি দেখার ইচ্ছাপোষণ করলেও, ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে ফ্রান্সের হারে সেটা নিয়ে দেখা নিয়েছে শঙ্কা। সমর্থকরা প্যারিসে মেসির হাতে বিশ্বকাপ ট্রফি কতটা মেনে নিবে, সেটাই এখন প্রশ্ন?