নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ “সমসাময়িক সহিংসতাঃ পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ” শিরোনামে আজ বুধবার বিকেল ডিএমপি রমনা জোন ও স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রমনা জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য জনাব অধ্যাপক আলী নকি, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সেলিনা আক্তার, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জনাব কাজী মাইনুল এবং শিক্ষক- শিক্ষার্থীবৃন্দ।
ড. সেলিনা আক্তার তাঁর উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এখন উন্নয়নশীল যে কোন দেশের থেকে এগিয়ে। পদ্মা সেতু হলে উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা বেড়ে যাবে বহুগুণ। তাই এই অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করার জন্য চলছে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের কল্লা তথা মানুষের মাথা লাগবে। শুধু তাই নয় অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে সাজানো হচ্ছে ছেলে ধরা নাটক। এই নাটকে অংশগ্রহণ করছে কিছু বিবেকহীন মানুষ। মধ্যযুগীয় কায়দায় একের পর এক নৃশংসভাবে হত্যা করা হচ্ছে নিরীহ মানুষকে। তিনি বলেন বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করার যে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে তা রুখে দিবে তরুণ সমাজ। তিনি তরুণ সমাজকে সাথে নিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করার আহবান জানান।
অধ্যাপক আলী নকি বলেন, সৃষ্টির সূচনালগ্ন থেকেই ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষ কুসংস্কারমনা। আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানবিক হতে হলে কুসংস্কার দূর করতে হবে। তিনি আরো বলেন যারা দূর্বল চিত্তের, যারা কাপুরুষ তারাই গণপিটুনিতে অংশগ্রহণ করে নিজেদের ব্যক্তিগত দূর্বলতা আড়াল করতে চায়।
অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার এইচ এম আজিমুল হক বলেন বাংলাদেশ পুলিশ জঙ্গিবাদকে কঠোর হস্তে দমন করেছেন। মাদকের বিরুদ্ধেও চলছে সাড়াশি অভিযান। গুজব ছড়িয়ে সহিংসতার মাধ্যমে যারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় তাদের শায়েস্তা করার জন্য রয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী। যে কোন ঘটনা নজরে আসার সাথে সাথেই ৯৯৯ এ ফোন করে জানানোর অনুরোধ করেন সবাইকে।